চীনের উইঘুর মুসলিমরা এখনও করোনা ভাইরাস মুক্ত,কারণ হালাল খাদ্য

    0
    910

    শুধু চীনেই নয়, করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়েই আতঙ্ক। চীন ছাড়াও নানা দেশে এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এ ভাইরাস চীনে মহামারীর আকার নিলেও অবাক হওয়ার মতো খবর হচ্ছে, উইঘুর মুসলিরা এখনও এ ভাইরাসমুক্ত রয়েছে! অথচ তাদেরকে যে পরিবেশ রাখা হয়েছে, তাতে তাদেরই এতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ছিলো বেশি।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু) করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এতে চীনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিলো উইঘুর মুসলিমদের বন্দী-শিবির। জিনঝিয়াং প্রদেশে মগজ ধোলাইয়ের নামে বিভিন্ন বন্দী-শিবিরে উইঘুর মুসলিমদের রাখা হয়েছে মানবেতর পরিস্থিতিতে। সেখানে উইঘুর মেয়েদের জোর করে বন্ধ্যা করে দেয়া হচ্ছে। কোনো ধরণের ধর্মীয় আচার পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যখন প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমের দিন কাটছে – তখন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছিলো।

    চীনে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ নেয়ায় পুরোপুরি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে দেশটির উহান ও হুবেই শহরসহ আরো কয়েকটি শহর। এতে আরো আক্রান্ত ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, হংকংসহ বিশ্বের প্রায় চব্বিশটি দেশ।

    সম্প্রতি সিএনএন এক রিপোর্টে জানিয়েছে, চীনের অন্যান্য এলাকার তুলনায় উইঘুর মুসলিমরা করোনার গ্রাস থেকে অনেকটাই রেহাই পাচ্ছেন। কেননা, তারা হালাল খাবার খেয়ে থাকেন – যা তাদেরকে করোনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছে।

    তবে করোনা ভাইরাস সংক্রামক বলেই তাতে উইঘুররা যে আক্রান্ত হবেন না – তা হলফ করে বলা যাবে না; আশঙ্কা থেকেই যায়। কিন্তু তারা যে এখনও এ থেকে মুক্ত, তা স্পষ্ট জানিয়েছে সিএনএন।

    উল্লেখ্য, চীনাদের প্রিয় খাবার আরশোলা, টিকটিকি, ইঁদুর, ব্যাঙ ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ – যেগুলোই মারাত্মক ভাইরাস বহন করে থাকে। মুসলিমরা এসব খাবার ধর্মীয় নিষেধের কারণে খান না। তাদের হালাল খাবারই পছন্দ।

    এ ব্যাপারে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের চৈনিক ইতিহাসের অধ্যাপক জেমস মিলওয়ার্ড উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটারে লিখেছিলেন: বন্দীশিবিরে যা খারাপ অবস্থা, অস্বাস্থ্যকর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে উইঘুর মুসলিমরা থাকছেন – তা নজরদারির প্রয়োজন। তাদের প্রতি চীন সরকার যে অবহেলা করছে আর করোনা ভাইরাস যেভাবে থাবা বসাচ্ছে – তাতে উইঘুর বন্দী শিবির মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে তাই ট্যুইটোরে ‘ভাইরাস থ্রেট ক্যাম্পস’ নামে হ্যাশট্যাগ চালু করা হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে করোনা ভাইরাসের থাবা এখনও প্রবেশ করেনি উইঘুর বন্দীশিবিরগুলোতে। সূত্র : পূবের কলম ও সিএনএন।