জান্নাতের লোভে যৌন জিহাদে অংশ নিয়েছিলাম!

    1
    309

    আমারসিলেট 24ডটকম,৩০সেপ্টেম্বর: সিরিয়ায় “যৌন জিহাদে” অংশ নিতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিউনেশিয়ার কথিত যৌন জিহাদী (?)নারীরা। যৌন জিহাদে অংশ নেওয়া নারীরাই প্রকাশ করছেন যৌন জিহাদের ভীতিকর অভিজ্ঞতা। তিউনেশিয়ার ১৯ বছরের একজন তরুণীর নাম লামিয়া।অনেক মুসলমানের মতো তিনিও সিরিয়ায় গিয়েছিলেন যৌন জিহাদে অংশ নিতে। যৌন জিহাদের ধারণা সম্পর্কে লামিয়া বলেন, অনেক তিউনিশিয়ান নারীর মত আমিও জান্নাতের লোভে সিরিয়াতে যৌন জিহাদে অংশ নিয়েছিলাম। আমি ২০১১ সালে প্রথম একটি টিভি অনুষ্ঠান দেখে ইসলামী জীবনযাপনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। আমি হিজাব পড়া শুরু করি। আমি বিশ্বাস করতাম, পরপুরুষের সামনে যাওয়া পাপ।

    তবে সিরিয়াতে পাঠানোর আগে লামিয়াকে বোঝানো হয়, নারীরা নিজেদের শরীর দিয়ে ইসলামের শক্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। প্রতিটি হামলার আগে ও পরে নিজেদের শরীর দিয়ে যোদ্ধাদের মুগ্ধ করে নারীরা ইসলামের শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধ করতে পারে। যা তাকে জিহাদীর সম্মান দেবে ও পরকালে দেবে জান্নাতই ? লামিয়ার মত আরো অনেক নারীকেই একই ভাবে জান্নাতের লোভে সিরিয়ায় পাঠানো হয় যৌন জিহাদের জন্য।সিরিয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তরুণী লামিয়াবলেন, সিরিয়া যুদ্ধের শুরুতে আমি কি করবো তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ি। পরে ইসলামী পন্ডিতদদের প্ররোচণায় আমি সিরিয়াতে যাই। সিরিয়া যাওয়ার পথে তাদেরকে প্রথমে লিবিয়ার বেনগাজীতে রাখা হয়। সেখান থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ার আলেপ্পোতে নেওয়া হয়।

    বেনগাজীতে লামিয়ার মতো অন্যান্য তিউনেশিয়ার নারীদের থাকতে দেওয়া হয় একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালে। সেখানে লামিয়ার মতো আরো যৌন জিহাদীদের থাকতে দেওয়া হয়। সেখানে আসাদ বিরোধী বাহিনীর প্রধান ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ব্যাটেলিয়ান নামের এক ব্যক্তি প্রথমে লামিয়ার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপরে আর কত মানুষ লামিয়ার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তা হিসাবও রাখতে পারেননি তিনি। ইরাক, পাকিস্তান, লেবানন, তুরস্ক, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, সোমালিয়াসহ নানান দেশের যোদ্ধাদের সাথে তাকে থাকতে হয়েছে।

    লামিয়া জানান, যোদ্ধারা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় তাদেরকে নানান ভাবে অত্যাচার করত। ব্যবহার করত প্রাণীর মত। তাদের নির্যাতনে অনেক নারীই মারা যায়। অনেকে আবার পালিয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছে। যারা পালিয়ে যেতে চেয়েছেন তাদের হত্যা করেছে ইসলাম রক্ষায় ? যুদ্ধরত সৈনিকরা অবশেষে লামিয়া সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিউনিশিয়াতে এসে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসক লামিয়াকে জানান, তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে লামিয়ার জন্য আরো বড় দুঃসংবাদ ছিল চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক লামিয়াকে জানান, তিনি ও তার অনাগত সন্তান উভয়ই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। সুত্রঃনতুনদিন