জাতিসংঘে হবিগঞ্জের জুয়েলঃসাথে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট

    0
    226

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭অক্টোবরঃ বাংলাদেশী আমেরিকান জুয়েল মিয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং মতবিনিময় করেছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে। পরিচিত হয়েছেন ব্যক্তিগত ভাবে এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী ও কুটনীতিকৃদের সাথে।

    জাতিসংঘের কর্মসূচিতে জুয়েলের অংশগ্রহণ শুরু হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ২০১৫’ তে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।

    এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ছাড়াও অংশ নেন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাসমুহের নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষকবৃন্দ। জুয়েল মিয়া এ সম্মেলনে আমেরিকান প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের ইয়ূথ অ্যাসেম্বলি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর সেশনে অংশ নিয়ে টেকসই উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বশান্তি প্রচেষ্টা বিষয়ক আলোচনা করেন ও যোগদানকারী প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময়ে অংশ নেন।

    দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের পর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এসবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল “ওম্যান পিস এন্ড সিকিউরিটি ইন দি পোষ্ট ২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা” “ইয়ুথ ইন্টারপ্রেনসশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট” এবং “চেঞ্জিং এটিচ্যুড টু প্রিভেন্ট সেক্সুয়্যাল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট” হাই লেভেল ইভেন্ড অন “এমপাওয়ারিং ওম্যান ইন ক্লাইমে একশন”, দি ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভোলাপমেন্ট প্রোগ্রাম এন্ড দি ইউনাইটেড ন্যাশনস এনটিটি ফর জেন্ডার ই-কোয়ালিটি এন্ড দি এমপাওয়ারম্যান অব ওম্যান, হাই লেভেল ইভেন্ট অন “মেকিং ইট হেপেন ফ্রম মিলেনিয়াম ডেভোলাপমেন্ট গোলস টু সাসটেইনেবল ডেভোলাপমেন্ট গোলস ইন এশিয়া এন্ড দি প্রেসিফিক”, ইভেন্ট অন “কমিউনিটি লিড ডেভোলাপমেন্ট কি টু অ্যাসিবিন দি সাসটেইনেবল ডেভেলাপমেন্ট গোলস”, হাই লেভেল মিনিষ্ট্রেরিয়াল ইভেন্ট অন “ইনডি চাইল্ড অ্যারলি এন্ড পোরসড মেরিজেস, রিপিরমিং আওয়ার কমিটম্যান্ট টু মুভ টুউয়াস কালেক্টিব একশন”, গ্র“প অব ফেন্ডস অব দি ইলিএন্স অ্যামুয়াল অফ সিবিলাইজেন্স ইন ওয়ান্ড মিনিষ্ট্রারিয়াল মিটিংসহ আরো ক’টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

    এসব আলোচনায় অংশনেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা। অধিবেশন চলাকালে জুয়েল মিয়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস টিসিপ্রাস, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট, নেদ্যারর্যান্ডসের রাণী, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, মাল্টার প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, গায়ানা প্রেসিডেন্ট, নিমিবিয়া প্রেসিডেন্ট, তাজাকিস্থান প্রেসিডেন্ট, ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট, মঙ্গলা প্রেসিডেন্ট, রোমানিয়া প্রেসিডেন্ট, কেমেরুন প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট, সুইজাল্যান্ড প্রেসিডেন্ট, ইজিপ্ট প্রেসিডেন্ট, মালয়ে প্রেসিডেন্ট, উরুগুয়ে প্রেসিডেন্ট, আর্মেনিয়া প্রেসিডেন্ট, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্যা কংগো প্রেসিডেন্ট, সাইপ্রাস প্রেসিডেন্ট, জামবিয়া প্রেসিডেন্ট, টোংগা প্রেসিডেন্ট, ইয়ামেন প্রেসিডেন্ট, থাইল্যান্ড প্রেসিডেন্ট, আর্জেন্টিনা প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের কৃষিমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, নমিবিয়ার উপপ্রধান মন্ত্রী।

    জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। যেমন রোহিঙ্গা, রিফুজি, হিউম্যানিটি এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এক সাথে কাজ করার জন্য আহবান জানান। এছাড়া জুয়েল বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, কুটনীতিক এবং জাতিসংঘের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার অমৃতা মোল্লা বাড়ীর হাজী দুদা মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া জাতিসংঘের ২০১৫, ইয়ূথ অ্যাসেম্বলি এট দি ইউনাইটেড ন্যাশনস।আরো যদি কেউ কোন তথ্য যানতে চান তাহলে ভিজিট করুন Facebook pages #Jual Miah, Working for Humanity and Peace, এবং Bengalis Around the World.