তাহিরপুরে কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ

    2
    479

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৮আগস্টঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে এক দরিদ্র অসহায় পরিবারের কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশের মাধ্যমে এবিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপন করে একসপ্তাহ পার করলেও দিতে পারছেনা কোন সমাধান। বরং এবিষয়টি নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করার জন্য ধর্ষকদের পক্ষ থেকে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী।

    ধর্ষিতা কিশোরীর নাম ঝুমারা বেগম (১৬)। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া গ্রামের এনাম মিয়ার মেয়ে। ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকরা হলেন,বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনির উদ্দিনের ছেলে সুরহান মিয়া (২৫), গাগটিয়া গ্রামের গ্রামপুলিশ সেজিত মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান (২৪) ও একই গ্রামের সাইদুর মিয়ার ছেলে কাহার মিয়া (২৬)।

    স্থানীয়রা জানায়,গত শুক্রবার রাত ৮টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কিশোরী জুমারা বেগম বাড়ির বাহিরে গেলে ওপরের উল্লেখিত লম্পট যুবকরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ধর্ষন করে। পরে মেয়েটি আত্মচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এলে লম্পটরা পালিয়ে যায়। এঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা লম্পট যুবকদের বাঁচানোর জন্য তাদের পক্ষ নিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে থানায় মামলা দিতে বাঁধা দেয়।

    কিন্তু এঘটনার একসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। ফলে ধর্ষিতা কিশোরীর ভবিষ্যত নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে তার পরিবার। এব্যাপারে কিশোরী ঝুমারা বেগমের বাবা এনাম উদ্দিন বলেন, সালিশের মাধ্যমে সমাধান হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত সমাধান হয়নি আলোচনা হচ্ছে। বড়ভাই শাফারুল মিয়া বলেন, আমার বোনের বিষয়টি একপর্যায়ে থামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে,যার কারণে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত আমরা কোন ন্যায় বিচার পাইনি।

    লম্পট সুরহান মিয়ার বাবা মেম্বার মনির উদ্দিনের ব্যক্তিগত দুই মোবাইল নাম্বারে গত দুইদিন যাবত বারবার চেষ্টা করার পরও নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। তাহিরপুর থানার ওসি শহিদুল্লাহ বলেন,লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।