বর্তমান সরকার কৃষকদের ভোলেনিঃপানি সম্পদ মন্ত্রী

    2
    256

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১এপ্রিল,সুজয় কুমার বকসীঃ বর্তমান সরকার কৃষকদের ভোলেনি, আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার সরকার যে ওয়াদা করেছিল তা পূরন করে চলেছে ,তারই ফল স্বরুপ আজ এই কৃষি উপকরন বিতরন করা হচ্ছে— আজ বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় নড়াইলে কৃষি উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ, এমপি এ কথা বলেন।

    সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলার নির্বাচিত পানি ব্যবস্থাপনা দলের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি (পাওয়ারটিলার, পাওয়ার থ্রেসার, লো-লিফটপাম্প) বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুল গাফফার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এইচ,ই,গারবেন ডিই জনং, সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ইসমাইল হোসন, নেদারল্যান্ড সরকারের প্রকল্প পরিচালক ডেবিট ডোনাল, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থার প্রকল্প পরিচালক ডঃ মাজহারুল ইসলাম,জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, কৃষিসম্পসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল হকসহ অনেকে।

    নেদারল্যান্ড সরকার আর্থিক সহযোগীতায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও) এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সম্ব^নিত পানি ব্যাবস্থাপনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ কৃষি উপকরন বিতরণ করা হচ্ছে।

    জেলার তিনটি উপজেলার ৫০ পানি ব্যবস্থাপনা দলের উপকার ভোগিদের মাঝে কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রকল্প প্রদত্ত কৃষিযন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ বিতরন করা হয়। ৫০ টি পাওয়ার ট্রিলার, পাওয়ার থ্রেসার, লো-লিফটপাম্প এবং ১ হাজার ২ শত ৫০ জন মহিলা উপকার ভোগিকে ৫০ ঝাঝরি,৫০টি নিরানী ও বোরো ধানের বীজ এবং সার : প্রত্যেক কৃষককে ৫কেজি বীজ, ৩০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার, সবজি বীজ প্রত্যেক কৃষককে ১৪০গ্রাম বীজ, ২ কেজি ডিএপি, ২ কেজি এমওপি ও কেজি ইউরিয়া সার প্রদান করা হয়।

    উক্ত কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরনের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা), পানি ব্যবস্থাপনা দলের প্রতিনিধি এবং এফএও এর প্রতিনিধির মধ্যে একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তিপত্রে কৃষি যন্ত্রপাতি গুলো কিভাবে ব্যবহৃত ও রক্ষনাবেক্ষণ হবে তা সুস্পস্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া ঐসকল কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে অর্থ আয় হবে এবং সেই অর্থ ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।