সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সুন্নি মাহফিলে সংঘর্ষঃআহত-৩০(আপডেট)

    2
    518

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মার্চঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার হলহলিয়া  সাতগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত  সোয়া ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া  সাতগ্রাম দাখিল মাদ্রাসা মাঠে।স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে কওমি পন্থি হেফাজতিদের জোর পূর্বক প্যান্ডেল দখল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে  পরিস্তিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।তারই জের ধরে  মাদ্রাসাপক্ষ বনাম কওমি পন্থিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ওই মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং প্রায় ৩০জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।আহতদের মধ্যে ১০জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় একটি সুত্রে জানা যায়, এলাকার  তরিকতপন্থি সুন্নি মতাদর্শি ৩ জন পীর মাশায়েখের ভক্তদের দ্বারা  পরিচালিত হলহলিয়া  দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক সুন্নী মাহফিল চলে  আসছে  প্রায় ১০/১২ বৎসর ধরে। প্রতি বৎসরের ন্যায় এ বছরও গত শুক্রবার(২৭ মার্চ)  বার্ষিক সুন্নী মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য  করা  হলে  কওমি পন্থিরা একই দিনে  পাশাপাশি স্কুল মাঠে ঈর্ষান্বিত হয়ে আরেকটি ধর্মিয় মাহফিলের ঘোষণা দেন।বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে জানালে তিনি উভয় পক্ষকে  ডেকে নিয়ে সুন্নি মাহফিলে কওমিপন্থি  ৪ জন বক্তাকে ২ মিনিট করে বক্তব্য প্রদানের সময় নির্ধারন করে দেন।এরই প্রেক্ষিতে ওই দিনে মাহফিলে সুন্নি বক্তা বক্তব্য রাখাকালিন সময়ে হেফাজতপন্থি কয়েকজন ব্যাক্তির নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র ও কিছু সরলমনা লোকদের নিয়ে একটি দল “দ্বীন ইসলাম-জিন্দাবাদ” শ্লোগান দিয়ে জোর জবরদস্তি করে মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গেলে হাঙ্গামা এড়াতে ২জন হেফাজতপন্থি বক্তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের অনুরোধে ২০ মিনিট করে সময় দিতে বাধ্য হন মাহফিল কমিটি।পরে ২০ মিনিটের চেয়ে অতিরিক্ত সময় পার হলেও তারা মাইক ত্যাগ না করায়  স্থানীয় সুন্নি জনগণের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এরই জের ধরে দুইগ্রুপের  লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    অপর একটি সুত্র জানিয়েছে অনেক গুলো কওমি মাদ্রাসার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এর ধারাবাহিক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল  বিরোধিতা করে আসছে। এমনকি মাদ্রাসার  প্রতিষ্ঠাতা সুপার  মাওলানা কারী সৈয়দ আহমদকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ফলে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার  ও তার পরিবারের লোকজন  নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।

    আরও জানা যায়,এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাহিরপুর থানার ওসি শহিদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সংঘর্ষের ঘটনাটি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের আলোচনা চলছে।