কমলগঞ্জে দুবৃত্তদের আগুনে ভস্মিভূত ৪ গরুঃদগ্ধ এক যুবক

    2
    234

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮মার্চ,শাব্বির এলাহীমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামে দুবৃত্তদের আগুনে পুড়ে মারা গেছে ৪ গরু, ১২টি হাঁসমুরগী, ধান, চাল সহ দিনমজুরের বসতঘর।

    এ সময় গরু রক্ষা করতে গিয়ে এক যুবক দগ্ধ হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।

    ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ভেড়াছড়া গ্রামের ফরেস্ট ভিলেজার দিনমজুর হাগরু রিকমুন সহ পরিবারের সদস্যরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে হাগরুর মাটির ঘরের টিন সেটের গরু ঘরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে আগুন জ্বলতে দেখেন। গরু ঘরের ছন থাকায় মুহুর্তের মধ্যে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে গরু উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে আগুনে পুড়ে ৪টি গরু, ১২টি হাঁস মুরগী মারা যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ধান, চাল, কাপড় সহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এ সময় আগুনে হাগরু হাগরু রিকমুনের ছোট ভাই সুভাষ রিকমুন এর ডান কানের পাশের অংশ আগুনে দগ্ধ হয়। অগ্নিকান্ডে হাগরু রিকমুনের ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। সবকিছু আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যাওয়ায় হাগরু রিকমুন এখন পাগলপ্রায়।

    ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান রোববার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যদের শান্তনা দেন। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হাগরু রিকমুনের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন কমলগঞ্জ ইউএনও মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী এ প্রতিনিধিকে জানান, হাগরুকে বসতভিটা ছাড়া করাতে স্থানীয় একটি মহল বেশ কিছুদিন যাবত ষড়যন্ত্র করছেন। বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়েছে। তারাই হয়তো আগুন লাগাতে পারে।

    তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমলগঞ্জ থানায় কোন মামলা হয়নি। জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন হাগরু রিকমুনের পরিবারটি। প্রাণনাশের ভয়ে মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতে পারছে না।