চুনারুঘাটে দু’পক্ষেরই ধর্মীয় মাহফিল পন্ডঃ ১৪৪ধারা জারি

    3
    619

    আমারসিলেট24ডটকম,০২জুন,এস,এম,সুলতানঃ চুনারুঘাটের দুর্গাপুর বাজারে দু’পক্ষের ধর্মিয় মাহফিল আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় হবিগঞ্জ প্রশাসন ১৪৪ধারা জারি করে। ফলে সভা দু’টিই পন্ড হয়ে যায়। জানা যায়, গতকাল দুর্গাপুর বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে ইছালে ছোয়াব মাহফিল আয়োজন করে। এ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিতর্কিত ও নবী বিদ্বেষী এনায়েত উল্লা আব্বাছী নামে এক মৌলভীকে দাওয়াত করায় ওই দিন একই স্থানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে অপর একটি সুন্নী মহা সম্মেলনের আয়োজন করে প্রচার প্রচারণা শুরু করার পর উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় দুর্গাপুর এলাকাবাসীর পক্ষে ফারুক মিয়া মেম্বারসহ যৌথ স্বাক্ষরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। অভিযোগ পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ অমূল্য কুমার চৌধুরী রাত ১০টার দিকে উভয় পক্ষকে থানার কার্যালয়ে তলব করেন। তলবে সাড়া দিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় থানা কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মাঝে আলোচনা শুরু হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আকল মিয়া, আলহাজ্ব মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরী, আলহাজ্ব মাওলানা ইরফান আলী, মোঃ ফারুক মিয়া মেম্বার, দুর্গাপুর বাজার জামে মসজিদের খতিব, বাজার সেক্রেটারী আব্দুস ছাত্তারসহ অনেকেই। আলোচনায় বিতর্কিত আব্বাছীকে বাদ দিয়ে মাহফিল পরিচালনার প্রস্তাব দিলে খতিব ও দুর্গাপুর বাজার সেক্রেটারীসহ তাদের লোকজন ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় চুনারুঘাট থানা প্রশাসন দুর্গাপুর এলাকায় ৪৪ ধারা জারি করে। ফলে মাহফিল দুটি পন্ড হয়ে যায়।

    উল্লেখ্য যে, গত ১১ মার্চ উপজেলার আমুরোড এলাকার মৌলভী ইকবাল মিয়ার বাড়ীতে একটি ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই ওয়াজ মাহফিলে তথা কথিত মৌলভী এনায়েত উল্লা আব্বাসী জৈনপুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান অতিথির আলোচনা রাখতে গিয়ে এনায়েত উল্লা আব্বাসী নবী করিম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম

    এর বিরুদ্ধে কুরুচি পূর্ণ এবং কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন। এ সময় স্থানীয় সুন্নী জনতা এর প্রতিবাদে ফুসে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় ওই আব্বাসীর বিরুদ্ধে আমুরোড বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং আব্বাসীকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।