ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলছেঃরাষ্ট্রপতিও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

    1
    282

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫এপ্রিলঃ আজ  ৫এপ্রিল শনিবার  জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস- ২০১৪ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী প্রদান করেছেন। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার নগর ভবনের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ-আল-হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রশাসক মো. আলমগীর এবং বিশেষ অতিথি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনছার আলী খান।সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে মো. আলমগীর বলেন, আমাদের দেশের মানুষ মুখের কথার চেয়ে ছাপার অক্ষরে কাগজের কথায় বিশ্বাস করে বেশি। তাই শিশুদের ভিটামিন খাওয়ানোর ব্যাপারে সাংবাদিকদের গঠনমূলক লেখা অনেক উপকারে আসবে। তিনি বলেন, তলোয়ারের তুলনায় কলম শক্তিশালী। বিশেষ অতিথি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনছার আলী খান ভিটামিন খাওয়ানোর ব্যাপারে পত্রিকায় ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    রাষ্ট্রপতির বাণী

    রাষ্ট্রপতি মোঃ  আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, সারাদেশে আজ শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৪ দিবস পালিত হবে জেনে আমি আনন্দিত। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, দীর্ঘদিন যাবৎ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, শিশুদের রাতকানা এবং  অন্ধত্বজনিত অপুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে তাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির অধীন জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। আমি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৪ এর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

    প্রধানমন্ত্রীর বাণী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, আজ শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৪ শুরু হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা যা ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে হয়। সরকার সব ধরনের অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে বছরে ২ বার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এর ফলে রাতকানা রোগের হার ৩.৭৬ শতাংশ থেকে বর্তমানে ০.০৪ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আমি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৪- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।