বেসরকারি৭১,আ’লীগ-৫২,বিএনপি-১৩,জামাত-৩,অন্যান্য-৩

    1
    270

    আমারসিলেট24ডটকম,০১এপ্রিলঃ গতকাল সোমবার সদ্য অনুষ্ঠিত ৭৩টি উপজেলা নির্বাচনে ৭১টি উপজেলার বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা ৫২টিতে বিএনপি সমর্থিতরা ১৩টিতে, জামায়াত সমর্থিতরা ৩টি ও অন্যরা ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন।

     মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় আওয়ামী  লীগ সমর্থিত মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ৭৮ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৬৩৯ ভোট।

    অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত শহীদুল ইসলাম জেমস ৩৬ হাজার ৩০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম বিএনপি সমর্থিত কাজী মনসুর উল কাদের টুটুল ১৮ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।ভাইস চেয়ারম্যান পদে  জয়ী হয়েছেন মানিক দেব মহিলা পদে ছালুয়া ঠাকুর।

     পাকুন্দিয়ায় (কিশোরগঞ্জ): পাকুন্দিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম রেনু ৪৬ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত আখতারুজ্জামান খোকন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ২৯৯ ভোট।

     কক্সবাজার সদর: কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত বি এম রহিমুল্লাহ ৪২ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগের সুবেদার মেজর (অব.) আ. মাবুদ পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের শহীদুল আলম বাহাদুর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একই দলের হেলেনাজ তাহেরা জয় লাভ করেছেন।

    উখিয়া (কক্সবাজার): বিএনপির সারওয়ার জাহান চৌধুরী ৪৩ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগের হুমায়ুন কবির চৌধুরী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৬৫২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সুলতান আহমদ চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একই দলের ছেনোয়ারা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।

    মাদারগঞ্জ (জামালপুর): জামালপুরের মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওবায়দুর রহমান বেলাল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার ২৩০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু ৯ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়েছেন।

    চুয়াডাঙ্গা সদর : চুয়াডাঙ্গা সদরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আশাদুল হক বিশ্বাস এক লাখ ৪০ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুল হক মালিক মজু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩ ভোট। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আজিজুল হক হযরত ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কহিনুর বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

    হাকিমপুর (দিনাজপুর): হাকিমপুর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত আকরাম হোসেন মণ্ডল ২০ হাজার ৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর আমিনুল ইসলাম ২৪ হাজার ৯৫৭ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী আক্তারা বানু চৌধুরী ১৫ হাজার ২২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত মাজেদুর রহমান ৬৩ হাজার ৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬২৪ ভোট।

    ফুলছড়ি (গাইবান্ধা): ফুলছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের মো: হাবিবুর রহমান ১৮ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী মো: ইউসুফ আলী পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭০ ভোট।

    দেবহাটা (সাতক্ষীরা): সাতীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাচনে আওয়াম লীগ সমর্থিত আলহাজ আব্দুল গণি ৫৩ হাজার ১৭২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত নেতা মাহাবুবুল আলম পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৫০ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুল আলম খোকন ৪৩ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোকলেছুর রহমান মুকুল পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯৩ ভোট। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফরোজা পারভীন ৩১ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আমেনা রহমান পেয়েছেন ২০ হাজার ২৮২ ভোট।

    রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি): রাজস্থলীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের উথিন সিন মারমা চার হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসএস সমর্থিত পুলু খই মারমা পেয়েছেন তিন হাজার ৬১৭ ভোট। রাজস্থলী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অং নু চিং মারমা ৩ হাজার ৯৬১ ভোট ও (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্রয় সুইউ মারমা ২ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। লংগদু উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো: তোফাজ্জল হোসেন ৯ হাজার ৮৪৩ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হাজী মো: ফয়েজুল আজিম পেয়েছেন আট হাজার ৬৭১ ভোট।

    লংগদু (রাঙ্গামাটি): লংগদু উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে লংগদু উপজেলা জামায়াতের মো: নাসির উদ্দিন ১৩ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে ও (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নুর জাহান বেগম জয় লাভ করেছেন।

    বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি): বিলাইছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতির শুভ মঙ্গল চাকমা ৫ হাজার ৫০৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৯ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেএসএস সমর্থিত অমৃত সেন তঞ্চঙ্গ্যা ৪ হাজার ৮২৮ ভোট ও (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্যামা চাকমা ৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন।

    কালীগঞ্জ (গাজীপুর): কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ ৫৮ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল হক নয়ন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপন ৬৫ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের খায়ারুল হাসান ২৮ হাজার ৮৭০ ভোট পান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শর্মিলী দাস মিলি ৬২ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরা বেগম (ফুটবল) ৩১ হাজার ২২৬ ভোট পান।

    গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): গফরগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আশরাফ উদ্দিন বাদল ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো: মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ২২ হাজার ৭১৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের রেশমা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন।

    নান্দাইল (ময়মনসিংহ): নান্দাইল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন ৬৯ হাজার ১২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের মাওলানা আব্দুস সালাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের হাবীবুন ফাতেমা পপি বিজয়ী হয়েছেন।

    ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ত্রিশাল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির জয়নাল আবেদীন ৬৪ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন সরকার পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩১১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের লুৎফুন্নাহার বিউটি বিজয়ী হয়েছেন।

    মনোহরদী (নরসিংদী): নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরু ৪১,৬৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মোয়াজ্জেম হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৩৯,৩৫৫ ভোট। পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও সেলিনা আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ): আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজালাল মিয়া ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গাজী মাসুদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৪১৪ ভোট।

    আড়াইহাজার উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রফিকুল ইসলাম ১ লাখ ৪ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লা পেয়েছেন ১০ হাজার ৪১৪ ভোট। আড়াইহাজার উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জোসনা বেগম ১ লাখ ১ হাজার ১৯১  ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির পারভীন আক্তার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৯৯ ভোট।

    ডোমার (নীলফামারী): ডোমার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া ৩৩ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৮৮ ভোট। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল হাকিম নির্বাচিত হয়েছেন।

    বিরল (দিনাজপুর): বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আ ন ম বজলুর রশীদ কালু ৫৩ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা: মানবেন্দ্র রায় মানব পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১০২ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম ৭৫ হাজার ৬৪৬ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফিরোজা বেগম সোনা ৬৪ হাজার ২২৯  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

    পার্বতীপুর (দিনাজপুর): পার্বতীপুর উপজেলা  চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ৬৭ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক পেয়েছেন ৬২ হাজার ৭৯৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী শাহিদা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।

    বেড়া (পাবনা): বেড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আমিনুর রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী শায়লা শারমিন ইতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা): আলমডাঙ্গা উপজেলায়  চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হেলাল উদ্দিন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শহীদুল কাউনাইন পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী খালেদুর রহমান অরুণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীম আরা খাতুন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    সাতক্ষীরা সদর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচনে  চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু ১ লাখ ৫২ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রার্থী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৪৪ হাজার ২১৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম মোরশেদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী কোহিনুর বেগম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    তালা (সাতক্ষীরা): তালা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমার ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা: শেখ মাহমুদুল হক পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৪৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইখতিয়ার হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেবুন্নেছা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    ডোমার (নীলফামারী): ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া ৩৩ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৮৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আব্দুল হাকিম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সন্ধ্যা রানী রায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    পবা (রাজশাহী): পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মকবুল হুসাইন ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত পবা উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি মুনসুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৩ ভোট। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ দল সমর্থিত ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আশরাফুল ইসলাম তোতা ৩৯ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে পদে জামায়াত সমর্থিত খায়রুন্নেসা নির্বাচিত হয়েছেন।

    শাহাজাদপুর (সিরাজগঞ্জ): চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: আজাদ রহমান ১৬০০০০ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হোসেন হীরু পেয়েছেন ২০০১৯ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলিজা খান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    কলাপাড়া (পটুয়াখালী): চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতালেব তালুকদার ৭০১৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১১৮১০ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ৭৩২৫০ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিলকিস জাহান ৪৩৩৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

    হাতিয়া (নোয়াখালী):  হাতিয়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী মাহবুব মোর্শেদ লিটন ৮৭৪২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহিউদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারুল আজীম রাজু বই প্রতীক নিয়ে ৭৩১৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মমতাজ বেগম লাভলী নির্বাচিত হয়েছে।

    দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি): দীঘিনালায় ইউপিডিএফ সমর্থিত নবকুমার চাকমা ১২৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবুল কাশেম ১০৪৫৩ ভোট পান।

    রামগতি (লক্ষ্মীপুর): আওয়ামী লীগের আব্দুল ওয়াহেদ ৩০৮১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন পান ১৯৫৩০ ভোট।

    রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর): আওয়ামী লীগের আকম রুহুল আমিন ৯০৫৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রহিম ভিপি ২১৭৭৭ ভোট পান।

    রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন মাস্টার ৫৪৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের হাবিবুর রহমান মিন্টু পান ২২৫০০ ভোট।

    রাঙ্গামাটি সদর: জনসংহতি সমিতির অরুণ কান্তি চাকমা ২২১৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহবুবুল বাসেত অপু ১২৩৯৭ ভোট পান।

    রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি): আওয়ামী লীগের উথিন সিন মারমা ৪১৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির পুলু খই মারমা ৩৬১৭ ভোট পান।
    বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি): জনসংহতি সমিতির শুভ মঙ্গল চাকমা ৫৫০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জয় সেন তঞ্চঙ্গা ৩২৮৯ ভোট পান।

    বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): বানিয়াচং উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত শেখ বশির আহমেদ ৩৪২৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাশেম চৌধুরী পান ২৪৩৪০ ভোট।

    বিয়ানী বাজার (সিলেট): আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান ২০৬৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব পান ১৯১৩৬ ভোট। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা ফয়জুল ইসলাম ১৮৫৯৬ ও বিএনপির আব্দুল মান্নান ১৭৭৯১ ভোট পান।

    বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ): বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ২৪ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মণ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৮ ভোট ও আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম তালুকদার ১৪ হাজার ৭৩ ভোট পান।

    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ): তাহিরপুর উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো: কামরুজ্জামান কামরুল ২৬ হাজার ৯১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আনিসুল হক পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৮ ভোট।

    জুড়ী (মৌলভীবাজার): জুড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এম এ মোমিত আশু ২৯ হাজার ৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাসির উদ্দীন আহমেদ ২৩ হাজার ৪৫২ ভোট পান।

    রাজনগর (মৌলভীবাজার):  আওয়ামী লীগের আছকির খান ২৬ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জামি আহমদ ১৯ হাজার ৫৬৯ ভোট পান।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর: আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম ৫৭ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিতটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাজী জাহাঙ্গীর ৩৬ হাজার ৫৫৪ ভোট পান।

    আশুগঞ্জ (মৌলভীবাজার): বিএনপির আবু আসিফ আহমেদ ২৬ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হানিফ মুন্সী ২৩ হাজার ৩০৬ ভোট পান।

    মুরাদনগর (কুমিল্লা): মুরাদনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু ৬৩ হাজার ৩২১ ভোটে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সরকার ৩৬ হাজার ৮১৭ ভোট পান।

    চান্দিনা (কুমিল্লা):আওয়ামী লীগের তপন বকশী ১,০৩,১৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রার্থী এলডিপির ১৮ হাজার ২৮ ভোট পান।

    ছাগলনাইয়া (ফেনী): ছাগলনাইয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের মেজবাহউল হায়দার সোহেল বিজয়ী হন। নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী নূর আহমদ মজুমদার।

     বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ): আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আকন ৪১৩১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর হাজী রফিকউল্লাহ খন্দকার পেয়েছেন ৩৮৯৯৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতের আরিফুল ইসলাম। (৬৭০৭২ ভোট)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের লুৎফর রহমান (৩০৬৮৭ ভোট)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের  নাসরিন আক্তার। নিকটতম জামায়াতের হাসিনা জালাল।

    গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): গোয়ালন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ২০৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৫৬৪৬ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলের গোলাম মাহবুব রব্বানী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নার্গিস বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

    লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ): লৌহজং উপজেলায় আওয়ামী দলীয় প্রার্থী ওসমান গনি তালুকদার ৮২১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় প্রার্থী ৭৩৫৬ ভোট।