স্ত্রী-সন্তান ও মেয়ের জামাইর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

    0
    497

    নূরুজ্জামান ফারুকী, নবীগঞ্জ: স্ত্রীর কাছে টাকা জমা রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্ত্রী, মেয়ের জামাই, কন্যা ও ছেলেদের নিয়ে স্বামীর টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় স্ত্রী ফিরোজা বেগম। কোন উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন স্বামী মোঃ কনা মিয়া। তিনি নবীগঞ্জ থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    কিন্তু আইনের আশ্রয় নেয়ায় বিরোধ আরো চরম আকার ধারন করে। স্ত্রী,ছেলে, কন্যা ও জামাই একজোট হয়ে প্রতিশোধ নিতে ওত পেতে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোঃ কনা মিয়া।

    স্থানীয় এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে সুত্রে প্রকাশ- নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের প্রবীন মুরব্বি মোঃ কনা মিয়া। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামের পশ্চিমে নতুন বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। গ্রামের সমিতির সভাপতি ও তিনি। সমিতি থেকে ঋন তোলে গরু বেচা-কেনা করেন। সব সময় তার কাছে টাকা থাকতো। স্ত্রী ফিরোজার কাছে টাকা রাখতেন। সে টাকা সঠিক মতো হিসেব দিতে পারতোনা। এতে স্বামী কনা মিয়া স্ত্রীর কাছে টাকা রাখেননি। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। কয়েকবার উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। গ্রাম্য বিচারকগন তাদের বিরোধ মীমাংসা করতে কয়েকবার সালিশ বৈঠকে বসেন। কিন্তু তারা একে অন্যকে সঠিক বিচার শেখাতে ব্যস্ত থাকে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্বামী মোঃ কনা মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্ত্রী ফিরোজা তার মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী দেওতৈল গ্রামে আক্কল মিয়া ওরফে আকলিছ-কে ফোন করে বাড়িতে আনেন। তার সাথে দুই পুত্র ও দুই কন্যা একজোট হয়। তারা কনা মিয়ার ঘরে থাকা গরু কেনার টাকা,প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র লুট করে (পিকআপ) গাড়ি দিয়ে জামাই আকলিছ এর বাড়িতে নেয়। কনা মিয়া বাড়িতে এসে এমন সর্বনাশ দেখে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নবীগঞ্জ থানায় স্ত্রী ফিরোজা, পুত্র সুমন, রাজু কন্যা-ডলি, সেলি ও মেয়ের জামাই আক্কল ওরফে আকলিছ-কে আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগকারী মোঃ কনা মিয়া জানান-মামলা করার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। আসামীরা প্রতিশোধ নিতে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে স্ত্রী ফিরোজা জানান-বিয়ের পর থেকে তার স্বামী মোঃ কনা মিয়া তাকে নির্যাতন করে আসছে। বিগত দিনে তিনি আদালতে ও থানায় মামলা করার পর সামাজিক বিচার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নিস্পত্তি করলে ও বর্তমানে কনা মিয়া তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে তাকে মারপিট করায় বর্তমানে অন্যত্র অবস্থান করছেন। অচিরেই তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন। এর সত্যতা জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন-অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত কনা মিয়া সঠিক বিচার পাবেন।