রাজনগরে প্রকাশ্য গুলাগুলিতে ফেইসবুকে তোলপার

    0
    784

    বিশেষ প্রতিবেদক,মৌলভীবাজার: আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে সাহসের সাথে সৎ পথে চলতে শিখেছি,ছাত্রলীগের সাথে সম্পর্কটা রক্তের। আফসোস লাগে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে যখন কেউ নিজ স্বার্থে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার করে। পিস্তল হাতে নিয়ে আরেক ছাত্রলীগ ভাইয়ের বুকে তাক করার নীতি আপনাকে কে শিখিয়েছে.? তার পরিচয় চাই,যে হাতে কলম থাকার কথা সে হাতে পিস্তল কে ধরিয়ে দিয়েছে জবাব চাই। এমনটাই বলছেন জেলা ছাত্রলীগের অনেক কর্মী তাদের ফেইজবুক ফেইজে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ কর্মীর অভিভাবক বলেছেন, ছাত্রদের হাতে কলম দেয়ার নামে পিস্তল তুলে দেয় এমন ছাত্রলীগ সংগঠন প্রযোজন নেই ,আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে সম্মান জানিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থন করি,আমার ছেলেকে বলেছি ছাত্রলীগ করো যে সংগঠন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া।এখন তো ভয় হচ্ছে,রাজনগরের এই সঙ্ঘর্শে শুধু ছাত্রলীগ নয় স্কুলে পড়ুয়া ছেলেদের হাতে অস্ত্র যা আমরা সরাসরি দেখেছি।
    রাজনগরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলাগুলি, গ্রুপিং দ্বন্দের জেরে অস্ত্রের মহড়া নিয়ে সন্ত্রাসী কার্য-কলাপে লিপ্ত হয় যুবলীগ ছাত্রলীগ নামধারীরা। রাজনগর, দিনে দিনে বাড়ছে সন্ত্রাসীদের তান্ডব, ভঙ্গ করছে সাংগঠনিক নীতিমালা, ক্ষুন্ন হচ্ছে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি, প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যার লক্ষ্যে অস্ত্রের মহড়া বেড়েই যাচ্ছে সন্ত্রাসী মহলের।
    উল্লেখ্য ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজনগর উপজেলা পরিষদের সম্মুখে রাজনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় পিস্তল এবং শটগানসহ দেখা যায় রাজনগর উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আহমেদকে, রাজনগর উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ফৌজি, রাজনগর উপজেলার যুবলীগের সহ-সভাপতি সিজু আহমেদ। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্মুখে থেকে আরো নেতৃত্ব দেয় ছালেক আহমদ ,নজমুল হক সেলিম,সাবেক জাসদ নেতা ময়নু খান।সাংগঠনিক নীতিমালা লংঘন করে কিভাবে অস্ত্র নিয়ে ওপেন গোলাগুলি হয় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগ ছত্রছায়ায়? প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে আরো বলছেন গ্রুপিং দ্বন্দ থাকতে পারে তবে ওপেন গোলাগুলি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংগঠনিক পরিচয় মানায় না, যুবলীগের বিধানে আছে কোন অস্ত্র সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মাদকসেবী আওয়ামী যুবলীগে ঠাঁই পাবে না। রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সিজু আহমেদ শটগান নিয়ে ওপেন গুলি করছেন -দ্বিতীয় ব্যক্তি রাজনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল আহমদ পিস্তল নিয়ে গুলি করছেন। কোথায় জেলার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরা ? তারা কি দেখেও না দেখার বান করছেন। যদি এভাবেই সংগঠনে সন্ত্রাসীদের টাই দেওয়া হয় তাহলে সংগঠনের সোনাম প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সাংগঠনিক নাম লাগিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ লেবাসধারী ছাত্রলীগ যুবলীগ করার অধিকার নেই অতিদ্রুত বহিষ্কার প্রধানের আবেদন ও উপজেলা ছাত্রলীগ আজীবনের জন্য স্থগিত করা হোক। বহিস্কারের পাশাপাশি এসব সন্ত্রাসীদের আইনের মাধ্যমে এনে বিচার করা হোক। মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আমিন কে এই প্রতিনিধি একাদিক মোবাইল ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি।