বিজয় দিবসঃরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

    0
    907

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ডিসেম্বরঃ আজ  মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের মহা আনন্দের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে একাত্তরের এই দিনে মুক্তিকামী বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্বাধীনতার শহীদদের স্মরণ করছে বাঙালী জাতি।
    দেশের রাজধানীর পুরাতন বিমান বন্দরের রানওয়েতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাষ্ট্রপতি আলহাজ্জ  মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের পর এক মিনিট নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
    সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি দলও শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
    এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা স্মৃতিসৌধে ফুল দেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পরে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
    বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ও কূটনীতিকরাও শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন একাত্তরের শহীদদের।
    ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হয় সবার জন্য; পতাকা আর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদের স্মৃতির মিনার।
    ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। পরে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রাম শুরুর পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী।
    স্মৃতিসৌধের অনুষ্ঠান চলার মধ্যেই সকাল ১০টায় রাজধানীতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে শুরু হবে কুচকাওয়াজ। এই কুচকাওয়াজের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন মহড়া চলবে, যার প্রস্তুতি চলছে গত কয়েকদিন ধরে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম নেবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।