চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবীতে মানববন্ধন

    0
    239

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২ডিসেম্বরঃ  শনিবার ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর উন্নীত করার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মদনমোহন কলেজ এবং বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    উক্ত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রধান ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য, বাংলার সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার সরকার এবং রসায়ণ বিভাগের প্রধান ড. সৈয়দ শামসুল আলম।

    সাধারণ ছাত্র পরিষদ সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সাধারণ ছাত্র পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মিজান খাঁন, সম্পাদক এসএম মিজানুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক নিলয় গোস্বামী।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কাউসার খসরু, শামীম আহমেদ, আজাদ তালুকদার, কামরুজ্জামান, নুর উদ্দিন, ফারুক আহমেদ, উত্তম ভট্টাচার্য্য, নুরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক মোঃ ফারুক মিয়া প্রমুখ।

    বক্তরা তাদের বক্তব্যে উক্ত দাবীর পক্ষে জোরালে ভাবে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ্য করেন বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ গত ৩১ জানুয়ারি ২০১২খ্রি. তৎকালিন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার থাকাকালিন জাতীয় সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

    কিন্তু তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। বক্তরা আরো উল্লেখ করেন, আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ বিশ্বের সর্বত্র সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৩০ বছরের উর্দ্ধে। উন্নতবিশ্বে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের নির্দ্দিষ্ট কোন বয়সসীমাই নেই।

    চাকুরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায়, ৩০ বছরের পর অনেকেই বেকার হয়ে যায় ফলে বেকার সংখ্যা হ্রাসের চেয়ে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে চাকরি করলেও তার ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা থাকে না বলে বক্তরা উল্লেখ করেন। বক্তরা মনে করেন প্রচলিত নিয়মানুসারে ২৩বছরে শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধুমাত্র কাগজ-কলমে সীমাবন্ধ। স্নাতকোত্তর সনদপ্রাপ্তি সহ সর্বসাকুল্যে বয়স প্রায় ২৭/২৮ বছর অতিক্রম হয়ে যায়। ফলে চাকরি প্রবেশের সময় একেবারেই সংকীর্ণ হয়ে পরে।