“লামাকাজী, হাউসা, বলাউরা, টুকের বাজার জামায়াত-শিবিরের গাড়ী ভাংচুর ও নৈরাজ্যকারীদের নামের তালিক জালালাবাদ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে”
“দ্রুত গ্রেফতারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি ও অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে…ওসি আক্তার হোসেন”
আমারসিলেট24ডটকম,০৬নভেম্বরঃ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেষে ও জামায়াত-শিবিরের নেতার্মীদের গ্রেফতারের দাবীতে নিজ নিজ এলাকার থানায় নাম প্রেরনের জন্য নির্দেশ নিয়েছেন সিলেট কৃতিসন্তান সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, আমির আহমদ মোস্তফা, মোঃ চুনু মিয়া, আশিক মিয়া মেম্বার, আছন মিয়া, তাজ উদ্দিন, সাইদুর রহমান, লাহিন আহমদ, বাদশা মিয়াকে গ্রামের জামায়াত-শিবির কর্মীদের নাম থানায় প্রেরনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
\বর্ণিত নামগুলো দেওয়া হল ঃ লামাগাঁও গ্রামের হাজী মনির উদ্দিন, মোঃ গোলাম আযম, মাওঃ বজলুর রহমান, প্রফেসর সাঈদ আহমদ, হাবিবুর রহমান, আমিনুল ইলাম, জামাল আহমদ, এমরান আহমদ, জয়নাল আহমদ, তালুকপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি, লালারগাঁও গ্রামে মাষ্টার আক্তার হোসেন, হিরণ মিয়া (যুক্তরাজ্য), শাহাব উদ্দিন, কয়েছ আহমদ (যুক্তরাজ্য), ফয়সল আহমদ (যুক্তরাজ্য) কাওছার আহমদ, মক্তার আহমদ (যুক্তরাজ্য), বুরহান উদ্দিন (গ্রীস), নুর আহমদ, আব্দাল হোসেন নাহিদ, খায়রুল হাসান, জুনেদ আহমদ, আলমগীর হোসে (আমেরিকা), আব্দুল্লাহ, হাজী লাল মিয়া, রইছ মিয়া, সাঈদ আলী (আশাম), মনাফ মিয়া (মৃত), চৌধুরীগাঁও গ্রামের হাজী আক্রম আলী, হাজী শাহনুর মিয়া, খিত্তারগাঁও গ্রামের শাহ কাওছার আহমদ, শাহ লোকমান আহমদ, শাহ মাসুম আহমদ, শাহ নাসির উদ্দিন, শাহ মাহবুব খান, শাহ জহির আহমদ, ডাঃ মোঃ ইউসুফ, মনসুর আহমদ, আলতাব হোসেন, মোল্লারগাঁও গ্রামের মাওঃ নুরুজ্জামান, মাওঃ রুহুল আমীন (যুক্তরাজ্য), মাওঃ আব্দুর রকিব মানিক, মোঃ আব্দুস সালাম (যুক্তরাজ্য), মোঃ গফ্ফার আহমদ, সেবুল আহমদ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মতিউর রহমান, ডাঃ সুমন আহমদ, সামস্ উদ্দিন, রুবেল আহমদ, রুকন আহমদ, এনাম আহমদ, চারপুন গ্রামের হাজী গোলাম মস্তফা।
আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্ণিত নাম গুলোর মাধ্যমে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। তাদের ভয়ে আমাদের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী মাঠে তাদেরকে পতিহত করতে পারছে না। কারণ তাদের সঙ্গে লম্বা লম্বা দা দিয়ে তাদেরকে সবসময় হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি যেসময় হরতাল ডাকে জামায়াত সেই সময় লামাকাজী এলাকায় গাড়ী ভাংচুর করে নিরীহ দিনমুজুর শ্রমিকের পেঠে লাতি মারতে থাকে। এমন হটাৎ করে তারা খিত্তার গ্রাম থেকে বের হয়ে লাঠি সটা নিয়ে মিছিল ও রাস্তায় পেকেটিং করে থাকে।
এমনকি ছাত্রলীগ, যুবলীগ হরতাল পতিহত করার ঘোষণা দিলেই তারা মারমুখী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দেকে দৌড়াইয়া নিয়ে বাড়ীতে আসে। বর্ণিত নামগুলোর কারণে আমরা কোন সভা সমাবেশ করতে পারছি না। এমনকি তারা এলাকায় জামায়াতের বিভিন্ন ধরনের মিটিং তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে জামায়াত-শিবির কর্মীকে দলে যোগদান করেন। এবং স্থানীয় পশ্চিম সদর ইসলামী কিন্ডার গার্টেনে তাদের দেশীয় অস্ত্র রাখা হয়েছে, যে কোন সময় তারা মারমুখি হয়ে আমাদের পতিহত করতে পারে। তাই বর্ণিত নামগুলোর নেতৃবৃন্দকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। এমনকি বাকী এলাকার নাম নিজ নিজ আওয়ামীগ কর্মী ২-৩ দিনের মধ্যে প্রেরণ করা হবে।
জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বর্ণিত নামগুলোর পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা ছেরাগ আলী ফোন করার সাথে সাথে আমরা পুলিশ নিয়ে প্রায় ১শতাধিক নিয়ে লামাকাজী যাই। কিন্তু যাওয়ার খবর শুনলেই তারা কেমন পিপরা মত হারিয়ে যায়। ওসি আরও জানান, মাননীয় পুলিশ কমিশনার যদি এলামাকাজীতে একটি পুলিশ ফাড়ি স্থাপন করেন তাহলে জামায়াত-শিবির আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারবে না, তা দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এবং বর্ণিত নামগুলোর মধ্যে কিছু সদস্য গ্রেফতার হয়েছে বাকী নেতাকর্মীকে খুবশিঘ্রই গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছি। ওসি আরও বলেন, গত ৫ নভেম্বর রাতে লামাকাজীতে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছি তাদের কে কোর্টে চালান দেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি দাতা
ওসি আক্তার হোসেন
জালালাবাদ থানা,
এসএমপি, সিলেট।
নিজাম উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদ,
সিলেট সদর,
উপজেলা আওয়ামীলীগ।