৭খুনের ঘটনায় র‌্যাবের ২কর্মকর্তাকে ৫দিনের রিমান্ড

    1
    250

    আমারসিলেট24ডটকম,১৮মেঃ নারায়ণগঞ্জে ৭জনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার র‌্যা ব-১১-এরসাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপম এ আদেশ দেন।এর আগে বেলা ২টার কিছু পরে তাদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনথেকে সরাসরি জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করাহয়।পুলিশের পক্ষ থেকে ২র‌্যাব কর্মকর্তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

    জানা যায়,শনিবার ভোর রাতে ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।তবে এ ঘটনায় অবসরে পাঠানো নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও র‌্যাবের নারায়ণগঞ্জক্যাম্পের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেফতার করাহয়নি৷ তার অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হতে পারেননি৷ প্রথমে তাদের ক্যান্টনমেন্ট থানায় রাখা হয়। প্রক্রিয়া শেষে তাদেরনারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাদের নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে রাখাহয়েছে।

    গ্রেফতারের আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানায়বিষয়টি জানান। গ্রেফতারের সময় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশও তাদের সঙ্গে ছিল।অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটারদিকে নারায়ণঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছেমিলিটারি পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে। ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে গোয়েন্দাপুলিশ ও মিলিটারি পুলিশের যৌথ দল সাবেক এ দুজন সেনা কর্মকর্তার বাসায় যানএবং তাদের গ্রেফতার করেন৷

    গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জসিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহসাতজন। এর তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের ও পরদিন আরো একজনের লাশশীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে৷

    এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরহোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার৷ ৪ মে নজরুলর শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ৬কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই ৭জনকে অপহরণ ও খুনকরেছেন।পরে হাইকোর্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেন। এরই মধ্যে তাদের গ্রেফতারের জন্য হাইকোর্ট অপর একটি আদেশ দেন।আদেশের পর সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলে।গত বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়, তাদের গ্রেফতারেকোনো বাধা নাই।