৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তিসহ ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা

    0
    213

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৮এপ্রিল,ডেস্ক নিউজঃ  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হায়দরাবাদ হাউজের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তিসহ ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আরো ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার ঘোষণাও এসেছে বৈঠক থেকে।

    তবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য না হলেও নরেন্দ্র মোদী আবারো আশ্বাস দিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধান একমাত্র আমাদের সরকারই করতে পারবে।

    ২০১০ সালের পর এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০টির বেশি চুক্তি যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী কলকাতা-খুলনা-ঢাকা বাস চলাচল এবং খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল, রাধিকারপুর-বিরল রেললাইন উদ্বোধন করেন।
    এর আগে শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা গ্রহণের মাধ্যমে চারদিনের ভারত সফরে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানান মোদী। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়।
    সকাল নয়টার দিকে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের অশ্বারোহী দল শেখ হাসিনার গাড়ি পাহারা দিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে রাজঘাটে যান। সেখানে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন এবং কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সচিবগণ ও দেশের বিশিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীরা।
    গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘আকাশ প্রদীপ’ নয়াদিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়। সেখানে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর কথা ছিল ভারতের হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড পাবলিক এন্টারপ্রাইজ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর। কিন্তু সবাইকে অবাক করে প্রটোকল ভেঙে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হন স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমানের গেটে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ ঘটনাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে ‘একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
    দুই প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময়ের পর শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মোদী সরকারের বাঙালি প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এ সময় দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শেখ হাসিনাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় রাইসিনা হিলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে। এই সফরে সেখানেই থাকবেন তিনি। পরে শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেয়ার ছবি টুইট করে মোদী লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি সংকল্পবদ্ধ।ইত্তেফাক