৫কারনে কামালকে নৌকায় চায় জৈন্তাপুরের তৃণমূল কর্মীরা

    0
    267
    জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নাম পাঠিয়েছে সিলেট জেলা আ.লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ৷ জৈন্তাপুর উপজেলাকে জামায়াত মুক্ত এবং অাল বদর, অাল সামস, রাজাকার মুক্ত করতে শিক্ষিত মেধাবী ও মাঠপর্যায় হতে রাজনীতি করে অাসা নেতাকে নৌকার মাঝি হিসাবে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মী।
    তৃণমূল নেতাকর্মীর দাবী সাবেক ছাত্রনেতা কামাল আহমদের হাতে নৌকা প্রতীক দিলে রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ উপহার দেয়া সম্ভব হবে এবং কামাল অাহমদ একমাত্র যোগ্য নৌকার কান্ডারী৷
    প্রথমত: কামাল আহমদ শেখ হাসিনা তথা অা.লীগের জীবনবাজী রাখা বিশ্বস্ত সৌনিক ও সাবেক ছাত্রনেতা। এক সময় জৈন্তাপুরে বঙ্গবন্ধুর নামটি মুখে আনা দুঃসাধ্য ছিল এবং ছাত্ররাজনীতির অন্যতম সংগঠন ছাত্রলীগ করা তো দূরের কথা, জৈন্তার রাজপথে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া ছিল খুবই কঠিন৷ সেই সময় কামাল অাহমদ স্বাধীন বাংলার তেরেঙ্গা উড়িয়েছেন, রাজপথে জয় বাংলার শ্লেগানে মুখরিত রেখেছিলেন৷ দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সাথে রাজপথে লড়াকু শত শত ছাত্রনেতার সৃষ্টি করেছেন বীরের বেশে। জৈন্তার রাজপথে আজকের সুসময় প্রতিষ্ঠার কারিগর এই ছাত্রনেতা। দলের ক্রান্তিলগ্নে রাজপথে কাপিয়েছেন তিনি। দিনের পর দিন ছাত্রনেতা হিসেবে রাজপথে ঘাম ঝরিয়েছেন কামাল অাহমদ।
    দ্বিতীয়ত: ছাত্রলীগের কর্মী থেকে ছাত্রনেতা৷ ছাত্রনেতা হতে সরসরি উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে নিজেকে স্থান করেনেন৷ পরবর্তীতে অা.লীগের সভাপতির মৃত্যুেত পদাধিকার বলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বপান৷ সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় রাজপথে ছিলেন এবং অাছেন। আ.লীগের দুঃসময়ে অনেকেই ছিটকে পড়েলে, কামাল আহমদ লেগেই অাছেন। দলের জন্য এবং তৃর্ণমুল নেতাকর্মীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ কামাল আহমদ তাই তিনি ধীরে ধীরে মূল সংগঠনের নেতৃত্বে আসনে অধিষ্টিত হয়েছেন। জৈন্তার মাটিতে আ.লীগের ভিত্তি শক্ত করতে কামাল আহমদের ভূমিকা সীমাহিন বিস্তৃত্ব। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার ভূমিকা অপরিসীম।
    এ পর্যন্ত ছাত্র নেতা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এবং অা.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সর্বশেষ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে উপজেলা আ.লীগের শীর্ষস্থানে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কখনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি কিংবা মিডিয়াকর্মী নির্যাতন, সাধারন মানুষকে হয়রানির অভিযোগ আসেনি কোন মিডিয়াতে। তিনি উপজেলা অা.লীগের ক্লিন ইমেজের অধিকারী সুযোগ্য নেতা৷
    তৃতীয়ত: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা করা ব্যক্তি কামাল আহমদ। তার ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তার প্রমাণ গত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণ দিয়েছে এলাকার সাধারন লোকজন। বিগত উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় জননেতা কামাল আহমদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৯ হাজার ভোট পান। বিগত নির্বাচন কামাল অাহমদের জন্য বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন ছিল বলে জনসাধারনে মুখে ছিল। কামাল আহমদ ২ মেয়াদে দরবস্ত ইউপি এক টানা ১৪ বৎসর সুনাম ও দক্ষতার সহিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা৷
    চতুর্থ: কামাল অাহমদ একজন সুমিষ্ট অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে তার ব্যাপক খ্যাতি বৃহত্তর জৈন্তাপুরে সুপরিচিত। চৌকস নেতৃত্বের কারণে তৃণমূলের কাছে তার ব্যাপক আবেদন ও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। জৈন্তাপুরের সর্বস্তরের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কামাল অাহমদের। তিনি সমাজের সকল মানুষের বিপদে আপদে সব সময় এগিয়ে যান। সাধারণ মানুষ কোন ধরনের সমস্যায় সম্মুখিন হলে সরসরি তার দ্বারস্থ হন এবং কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়নি কাউকে। উপজেলার সর্বত্র জনসাধারণের হৃদয়ে কামাল আহমদের জন্য রয়েছে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
    পঞ্চমত: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী মার্চ মাসে সারা বাংলাদেশে অনুষ্টিত হবে। জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ক্ষমতায় জামায়াতের সমর্থিত প্রার্থী। তাই বির্তকিত, ভূমিখেকু, পাথরখেকু, রাজাকার পরিবারের সন্তানের হাত থেকে উপজেলা পরিষদকে মুক্ত করতে কামাল অাহমদের মত নেতা এখনই প্রয়োজন৷
    আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করা খুব কঠিন কাজ। প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্য গত ২৭ জানুয়ারি জৈন্তাপুরে অা.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একাধিক প্রার্থী শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়ন চেয়ে তাদের নাম তালিকা ভূক্ত করেন৷ খুব কম সময় থাকায় দ্রুত কাউকে নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনিত করা হয়নি৷ জামায়াতের শক্ত প্রার্থীকে পরাজিত করতে হলে আ.লীগের ঐক্যবদ্ধতা হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সেই সাখে তৃর্ণমূল ভোটার ও নেতাকর্মীদের দাবী ক্লিন ইমেজদারী জননেতা কামাল আহমদ কে নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনিত করা সময়েন একমাত্র দাবী৷ কামাল অাহমদ নির্বাচন করা ও পরিষদ চালানোর অভিজ্ঞতার সাথে সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে নিঃসন্দেহে তিনি অন্যসবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাই তৃণমূল ভোটার এবং নেতাকর্মীরা অাশায় রয়েছেন মুজিব অার্দশের লড়াকু সৈনিক কামাল অাহমদ কে নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনয়ন দিবেন অাওয়ামী লীগের সভাপতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা৷