সানিউর রহমান তালুকদার,নবীগঞ্জঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি সিএনজি পাম্প এলাকায় গত মঙ্গবার একটি প্রাইভেট কারকে গতিরোধ করে তাদের বহণকারী প্রাইভেট কার ভাংচুর করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্ত্রী’র স্বামী মাওলানা সালাউদ্দিন মনসুর ও প্রাইভেট কার চালক আব্দুর রহিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় অপহরনের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি অপহৃত মাওলানা সালাউদ্দিন মনসুর ও কার চালক আব্দুর রহিমের।
জানা যায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লতিফপুর গ্রামের মাওলানা মাহমুদ হোসাইনের পুত্র মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাইমুন ও তার স্ত্রী জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরা পাশা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা সালাউদ্দিন মনসুর এর কন্যা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সরিফা নুসরাত তাইবা (২০)কে নিয়ে সিলেট থেকে প্রাইভেট কার ঢাকা (মেট্রো-গ ১২-২২৩৪) যোগে মামার বাড়ি পাশ্ববর্তী জেলা মৌলভীবাজারে রায়পুর (মামরকপুর) যাওয়ার পথিমধ্যে প্রাইভেট কার এ গ্যাস কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি গ্যাস পাম্পে আসে।
গাড়িতে গ্যাস নিয়ে সিলেটের উদ্দ্যেশে রওনা দিলে কিছু দূর যাওয়ার পরই একটি হাইক্স গাড়ি প্রাইভেট কার (ঢাকা- মেট্রো-গ ১২-২২৩৪)কে গতিরোধ করে সামনে দাঁড়ায়। এবং গাড়ি থেকে কয়েকজন অস্ত্রধারী ওই গাড়ি ভাংচুর করে প্রবাসী কন্যার স্বামী ও চালককে মারধর করে। গাড়ি ভাংচুরের শব্দে আশপাশ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে পিস্তল ঠেকিয়ে গাড়িতে উঠায়।
এসময় সু-কৌশলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সরিফা নুসরাত তাইবা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার বাম পাশের হাওর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে আউশকান্দি একটি দোকানে আশ্রয় দেয়।
তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, নবীগঞ্জ থানা ও গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ’সহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ঘটনার বর্ণনা দেয়, প্রবাসী কন্যা সরিফা নুসরাত তাইবা। পরে রাত ১টার দিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে।
এদিকে এ ঘটনায় সেখানে থেকে সিসি ভিডিও পুটেজ’সহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক রহস্য উৎঘাটনে মাঠে রয়েছেন।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এ ঘটনার মোটিভ এখন পর্যন্ত উৎঘাঠিত হয়নি এবং অপহৃতদের কোনো সন্ধানও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।
