২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে নবীগঞ্জে শোক ও প্রতিবাদ

0
579
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে নবীগঞ্জে শোক ও প্রতিবাদ

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের মদদে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জঙ্গিবাদীর গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভী রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত শোক ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২১ আগস্ট শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মুজিবুর রহমান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিধান চন্দ্র ধর, সাবেক ছাত্রনেতা উৎফল চৌধুরী পান্না, ৮নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান, ৭নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শৈলেন কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক যুবলীগ নেতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী তছনু বেগ, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গৌতম কুমার রায়, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লোকমান আহমেদ খান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ছইফা রহমান কাকলি, উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক শেখ শাহনুর আলম ছানু, আওয়ামী লীগ নেতা লেবু আহমেদ জেবু, অঞ্জন পুরকায়াস্থ, উপজলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খয়রুল বশর চৌধুরী, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদুজ্জামান মুহিত, রুপক দাশ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সরদার, নবীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল আহমেদ বেলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হাছান লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়ছল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাজু প্রমুখ।

এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ। শোক ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হামলাকারীরা এক ও অভিন্ন শক্তি। তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এদের মূল লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা হত্যা, গণতন্ত্র হত্যা করা। ১৭ বছর অতিবাহিত হলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ স্মৃতি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভয়াল সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন ৫ শতাধিকেরও বেশি লোকজন। আহতদের অনেকেই এখনো তাদের শরীরে গ্রেনেডের সিপ্লন্টার আর দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এই হামলার পেছনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তার হাওয়া ভবন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সৌভাগ্যবশতঃ সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যান। আমরা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত সব খুনিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি করছি। সভার শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন মোঃ জুয়েল মিয়া, গীতা পাঠ করেন, ধনঞ্জয় দেবনাথ।