১৮দলের ৮কর্মী গ্রেপ্তারঃবিদ্যুৎ অফিস উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা

    0
    249

    আমারসিলেট24ডটকম,০ডিসেম্বরঃ বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমত তাদের কে খুলনায় রেলে নাশকতার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ছয়টি হাতবোমাসহ গ্রেপ্তারের পর বিএনপি-জামায়াতের আট কর্মীকে আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। সেখানে তাদের একজন সাংবাদিকদের সামনে ওই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে দেন।

    গ্রেপ্তারকৃত  আটজন হলেন- জামায়াতকর্মী মোঃ শাহজাহান শেখ (৩০),  ফকির মোঃ মামুন (২৭), আজাদ শেখ (২৪), বিন-এ-আমিন (২৮) ও শামীম শেখ (৪১) এবং বিএনপিকর্মী হুসাইন আহমেদ (২৬), নাজমুল গোলদার (২৪) ও কামরুজ্জামান মোল্লা (৫৫)।জেলার পুলিশ সুপার গোলাম রউফ খান সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফুলতলা উপজেলার বুড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামে ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মোঃ ইব্রাহীমের বাড়িতে অভিযান চালায়।

    বলা হয়,সেখানে তারা বৈঠক করছিল। তাদের কাছ থেকে ছয়টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে থাকা আরো ১০/১২জন পালিয়ে গেছে।”পুলিশ সুপার জানান, ওই বৈঠকে ফুলতলার বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ফুলতলা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান, “এরাই গত ৩ ডিসেম্বর ফুলতলার বেজেরডাঙ্গা স্টেশনের কাছে যুগ্নিপাশা এলাকায় রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে রেখেছিল। ফলে সেখানে নকশীকাঁথা ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়।”সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতকর্মী শাহজাহান শেখ বলেন, তাদের ৫২ জনের একটি দল অবরোধে রেললাইনে নাশকতা এবং ৪৫ জনের একটি দল গাছ কেটে সড়ক অবরোধের ‘দায়িত্বে’ রয়েছে।

    ফুলতলার বিদ্যুৎ অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু সাংবাদিকদের বলেননি তিনি।গ্রেপ্তারকৃত আটজনের মধ্যে জামায়াতকর্মী ফকির মামুন জানান, জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় তিনি ছয় বছর সাজাও ভোগ করেছেন।

    আসন্ন ১০ম জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের দুই দফা অবরোধে সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা চালায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়, যানবাহনে দেয়া হয় আগুন, বোমায় দগ্ধ হয় বহু নিরিহ মানুষ।  গত ২৬ নভেম্বর থেকে দুই দফায় নয় দিনের অবরোধে সহিয়সতায় এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে বিরোধী দলের দুই দফা অবরোধে।