১৭ই রমজানঃমুশরিক ও মুসলমানদের প্রথম যুদ্ধ “বদর”

    0
    275

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩জুন,ডেস্ক নিউজঃ  সতেরো রামাদ্বান।ঐতিহাসিক বদর দিবস।ইসলামের সোনালী ইতিহাসে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। মক্কার শক্তিশালী মুশরিকরা  অল্প ও নতুন মুসলিমদের  উপর এ  যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলেন। এই যুদ্বের ফলাফলের উপরই ভিত্তি করছিলো ইসলামের প্রচার ও প্রসার।

    যেহেতু ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম তাই আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনই এর হেফাজতকারী। আল্লাহ তার প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়া কবুল করেছেন এবং ইসলামকে অসত্যের উপর বিজয়ী করেছেন।

    চন্দ্র বছরের হিসেবে ১৪৩৬ বছর আগে (খ্রিস্টীয় ৬২৪ সনের) এই দিনে (১৭ ই রমজান) মক্কার মুশরিকরা মুসলমানদের সঙ্গে তাদের প্রথম সুসংগঠিত যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল।

    প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ  সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম মদীনায় হিজরত করার পর তাঁর ওপর এ যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল মক্কার কাফের কুরাইশরা।

    এ যুদ্ধে মুসলিম মুজাহিদদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন। অন্যদিকে আগ্রাসী মুশরিক বাহিনীর সদস্য ছিল এক হাজারেরও বেশি। মহান আল্লাহর সহায়তায় ঐ যুদ্ধে মুজাহিদদের হাতে ৭০ জন কাফির বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এছাড়া  তাদের আরো ৭০ জন মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দি হয়।

    অন্যদিকে মুসলিম বাহিনীর ১৪ জন শাহাদত বরণ করেন। মুসলমানদের পক্ষে এই যুদ্ধের প্রধান বীর ছিলেন আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (রাঃ)। তিনি একাই ৩৬ জন কাফেরকে হত্যা করেছিলেন যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল নেতৃস্থানীয় কাফের সর্দার ও ততকালীন আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খ্যাতিমান যোদ্ধা। আলী (রাঃ) এই প্রথমবারের মত তরবারির যুদ্ধে তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ পান।

    বদর যুদ্ধ ইসলামের স্মরণীয় যুদ্ধগুলোর অন্যতম। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবিরা মুসলমানদের কাছে পরবর্তীকালে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিলেন।

    “বদর” নামক প্রান্তরে শুধু আল্লাহর উপর ভরসা আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর প্রেমে সিক্ত হয়ে সাহাবায়ে কেরাম এই যুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেন।