১৫ আগস্ট থেকে একুশে আগস্টের ভয়াবহ এই দিনে

    0
    293

    আজও একুশে আগস্ট । ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট, ৭৫ এর ঘাতকদের সহযোগীরা জাতির জনকের কন্যা সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছিল।

    ২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী আর্জেস গ্রেনেড।

    , সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় ও দলীয় নেতা কর্মীদের মানব প্রাচীরের কারনে অল্পের জন্য তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আমরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জনাব,জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী কেন্দ্রীয় মহিলা নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ হারিয়েছি ২৪ জন তাজা প্রাণকে।এবং সেদিন অাওয়ামীলীগের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী আহত হন। আজ ও শতাধিক নেতাকর্মী শরীরে বোমার স্প্লিন্টার বহন করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করেছে আবার কেহ।

    ঘটনাটি দেখতে দেখতে ১৭টি বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ভয়াল স্মৃতি এখনো তাড়িত করে চলেছে এ দেশের মানুষকে। সেই ভয়াবহ হামলায় যারা আহত হয়েছে তাঁরা জীবিত থেকেও যেন মৃত।

    ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা যে রক্ত গঙ্গা বয়ে দেওয়ার রাজনীতি শুরু করেছিল তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলা। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বাঁচাতে যেমন ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছিল একই কায়দায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘটনার জন্য সাজানো হয়েছিল জজ মিয়া নাটক। এমনকি বলা হয়েছিল শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগে আর্জেস গ্রেনেড রাখা ছিল। অথচ এধরনের গ্রেনেড কেবলমাত্র পাকিস্তানে পাওয়া সম্ভব। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে পাকিস্তান কি শেখ হাসিনাকে ধরনের দিয়ে হেল্প করতে পারে? ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। তারা দেশের জঙ্গীবাদকে উস্কে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশের অগ্রগতিকে যারা মানতে চায় না। যারা উন্নয়নকে উন্নয়ন চোখে দেখতে পারে না সবকিছুই বাঁকা চোখে দেখে তারাই জাতীর জনকের কন্যাকে হত্যা করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।  যদিও বর্তমান আওয়ামী লীগ সেদিকে কতটা সতর্ক তা সময়ই বলে দেবে।

    আজ ২১ শে আগস্ট নারকীয়, ঘৃণিত ও ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকারীদের সনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার কার্য সম্পাদন করা হোক এটি এদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর দাবি। তাছাড়া রাষ্ট্রের সকল মহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলে বারবার জাতীয় বিশ্বাসঘাতকের জন্ম নিবে। আজ অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে বিশ্বাসঘাতক অতি নিকটের হলেও তাকে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করে একটি সফল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে। লেখক: আনিসুল ইসলাম আশরাফী