১৪ দিন পর করোনা পজেটিভ,আক্রান্তরা এখন ঢাকায়  

    0
    264
    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় প্রথম ৬জন  করোনায় শনাক্ত হয়েছে। গত ২২এপ্রিল কোন উপসর্গ না থাকলেও ঢাকা,নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুরের গামেন্সে কর্মী হওয়ার তাদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বশীলরা। হোম কোয়ারেন্টিনে দেওয়া হলেও ফলাফল আসতে বিলম্ব হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে এরা অবাধে চলাফেরা করেছে গ্রামে ও বাজারে।
    একারণে অভিবাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উৎবেগ আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
    মঙ্গলবার(০৫,০৫,২০২০)দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার ফলাফল আসে ছয়জনের করোনপজেটিভ। তবে এই আক্রান্তদের মধ্যে  চারজন ইতিমধ্যেই আবার ঢাকায় চলে গেছে বলে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    এই ছয়জন করোনা পজেটিভদের মধ্যে ৩জন পুরুষের বয়স ৪৫, ৩৫ ও ১৬ বছর ও ৩জন নারীদের মধ্যে দুইজনের বয়স ৩০বছর করে অন্যজনের বয়স ১৮বছর।
    তারা সবাই উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আর ছয়জনে চার জনেই এখন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে গেছে।
    স্থানীয় এলাকাবাসী আরোও জানা যায়,ঢাকা ফেরত এই ছয় জনকে গত ২২ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ,গাজীপুর ও ঢাকা ফেরত এই ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হলেও তারা তা মানেনি। বরং অবাধ ঘোড়াফেরা করে আর এর মধ্যেই আক্রান্তদের পাঁচ জন গত চার দিন আগে আবারো ঢাকা,নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুরে চলে গেছে।
    বাড়িতে থাকা আক্রান্তদের দুজন সদস্যের মধ্যে একজন আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ধানকাটায় ছিল। দুপুরে করোনা পজেটিভ রেজাল্ট আসলে ডাঃ সুমন চন্দ্র বর্মনের নেতৃত্ব মেডিকেল টিম তাকে জমির ধানকাটা থেকে তুলে নিয়ে আর এক জন মেয়েকে নিজ ঘরে এনে আইসোইশনে রাখেছেন।
    প্রথম উপজেলায় ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান,তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও)ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি আরও জানান,ফলাফল আরো আগে আসা উচিত ছিল। তাহলে আক্রান্তদের কে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যেত। আজ খবর পাওয়ার পর ডাঃ সুমন চন্দ্র বর্মনের নেতৃত্ব মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। তারা আক্রান্ত দুজনকে আইসোইশনে রাখেছেন।
    তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন,পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার ১৪দিন পর রেজাল্ট আসলো করোনা পজেটিভ আসায় আমাদের সব চেষ্টা পন্ড হয়ে গেছে।এখন বিশাল গ্রামটি লকডাউনে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি।
    সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন শামস উদ্দিন জানান, নতুন করে আরো ২২জন করোনায় আক্রান্ত তাহিরপুর ৬,শাল্লা৫,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ৪,দিরাই ৩,ছাতক ৩ ও বিশ্বম্ভপুর ১জনসহ মোট ৫৮জন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে ও এদের সংস্পর্শে আসা সকলকে লকডাউনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।