১২বছরের কিশোরীর গর্ভে শিশুর জন্মঃঅভিযোগে আটক রাজিব

    0
    211
    নবজাতকের অঘোষিত পিতা নিয়মিত ধর্ষণকারী রাজিব আটক ।
    নবজাতকের অঘোষিত পিতা নিয়মিত ধর্ষণকারী রাজিব আটক ।

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮অক্টোবর,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃসিলেটের জৈন্তাপুরে পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীর কোলে শিশুর জন্ম। পালানোর প্রাক্কালে ধর্ষনে অভিযুক্ত নরপশু রাজিব আহমদকে আটক করলেন ইউপি চেয়ারম্যানের  প্রেরিত লোকজন।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,১৭ অক্টোবর সোমবার জৈন্তাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসে আসে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী হত দরিদ্র,রিক্সা চালক পিতার কন্যা ছদ্ম নাম টুনটুনি (১২)। হঠাৎ করে প্রসব ব্যাথা উঠলে প্রধান শিক্ষিকা গ্যাষ্টিকের ব্যাথা মনে করে থাকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান গ্যাষ্টিকের ব্যাথা নয় এটি প্রসবের ব্যাথা। ওই সময় হাসপাতালেই শিশুর কোলে শিশুর জন্ম হয়।

    এ ঘটনার সংবাদ মেয়ের পরিবারকে জানানো হলে তারা এসে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে গোপনে টুনটুনি ও তার নবজাতককে নিয়ে যান বাড়ীতে। পরে বিষয়টি রাজিবকের জানালে সে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেয়। তার কথা বললে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকীও দেয়। নিজের আত্মসম্মান বাঁচাতে রিক্সা চালক পিতা অসহায় হয়ে পড়েন। কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না।

    এদিকে গতকাল ১৮ আক্টোবর সহ-পাঠিদের মাধ্যেমে টুনটুনির বাচ্চা প্রস্রবের বিষয়টি এলাকায় চাউর হয়ে উঠে শিশুর কোলে শিশুর জন্ম! তখনই বিষয়টি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর নজরে আসে।

    এদিকে সংবাদকর্মীগন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাট তাৎক্ষনিক ভাবে অভিযুক্ত ধর্ষক উপজেলার গৌরীশংকর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে রাজিব আহমদ রাজিবকে (১৮) আটক করে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। রাজিব জানায়, প্রায় সময় সে সুযোগ বুঝে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট (জেমসন্স) সেবন করে ওই কিশোরীকে ধর্ষন করত। আটকের সময় তার পকেটে ২পাতা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাট এ প্রতিবেদককে জানান- আপনাদের সহ-যোদ্ধাদের মাধ্যমে সংবাদটি আমার কাছে আসে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনীক ভাবে আমার পরিষদের সদস্য ইয়াহিয়া, হুমায়ুন কবির খাঁন, আব্দুল হালিম এবং মনসুর মিয়ারসহ পরিষদের দফাদার পাঠিয়ে রাজিবকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। সংবাদ লিখা পর্যন্ত তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে চেয়ারম্যান জানান।