১১ বছর পর জিতু হত্যা মামলার আসামীরা বেকসুর খালাস

    0
    379

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭নভেম্বর,চুনারুঘাট থেকেঃ চুনারুঘাটে সুন্নী নেতা জিতু হত্যা মামলার রায়ে সকল আসামী খালাস পান। (২৭ নভেম্বর) সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত জেল্ দায়রা জজ মাহফুজা পারভীন (জি আর মামলা নং- ১২৬/০৬(চুনা)দায়রা- ৩৮/২০০৮ এর রায় ঘোষনা করেন। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবি সুবির রায় ও আসামী পক্ষের আইনজীবি আব্দুল মতিন খান উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গত ২৯ মে ২০০৬ইং সনে চুনারুঘাট মধ্যবাজারে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক সুন্নী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সম্মেলনে সুন্নী জামাতের নেতা ইসলামী ফ্রন্টের তৎকালীন কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যার প্রিন্সপাল আব্দুল জলিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলে ছিলেন, তাবলীগ জামাতীরা ওহাবী, কাফের, শয়তান বলে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। এসময় উপস্থিত তাবলীগ সমর্থকগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সুন্নীমতাদর্শীদের সহিত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। উক্ত সংঘর্ষে তৎকালী পৌর মেয়র মোহাম্মদ আলীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয় এবং বিক্ষোব্ধ জনতা শহরের বেশকিছু দোকানপাট ভাংচোর করে। এসময় সুন্নী দলের রাণীগাও ইউনিয়ন সভপতি জিতু মিয়া মারাত্তক আহত হয়।

    জিতু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যবরন করেন। পরে ৩০ মে ২০০৬ ইং তারিখ জিতুর চাচাত ভাই মোঃ লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে চুনারুঘাটের তাবলীগ জামাত সমর্থিত আব্দুল হক তারা মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হবিগঞ্জ কোর্টে এপেয়ার হলে দীর্ঘ ১১ বছর বাদী বিবাদীর ব্ক্তব্য ও স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। সকল আসামিগণই জামিনে ছিলেন। এব্যপারে আসামী পক্ষের আইনজীবি আব্দুল মতিন খান বলেন, স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে আমার মক্কেলদের নিদোর্ষ প্রমানিত করেছি, তাই বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।