হোম কোয়ারেন্টাইনে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী

    0
    225
    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকারী নিদের্শনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক মোঃ তৈয়বুর রহমান। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিদের্শনায় কোয়াটারের একটি কক্ষে একাই হোম কোয়ারান্টাইনে আছে।
    কিন্তু একটি পক্ষ এই ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে বলে বেড়াচ্ছ তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে অবাধে চলাফেরা করছেন যা সত্য নয় বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
    জানাযায়,গত দেড় মাস পূর্বে তিনি শারীরিক  ও পায়ে সমস্যার কারনে ছুটি নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে যান তিনি এতে করে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
    স্থানীয় এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক তৈয়বুর রহমান পায়ে আঘাত পেয়ে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে চিকিৎসার জন্য নিজ কর্মস্থল তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় যান। মার্চের ৩তারিখ কুর্মিটোলায় চিকিৎসা করিয়ে সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকেন এপ্রিলের ১২তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় নিজ বাসায়। সম্পূর্ণ বিশ্রামে থেকেই ১৩এপ্রিল কর্মস্থলে তাহিরপুরে আসেন।  এরপর তাকে হোম কোয়েরেন্টাইনে থাকার নিদের্শনা দেয়া হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
    প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক মোঃ তৈয়বুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা বাড়ি কিংবা কর্মস্থলে ফিরছেন তাদেরকে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আমি সরকারী নিদের্শনা ও স্বাস্থ্য  বিধি মেনে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনেই চলাফেরা করছি এবং বাইরের কোথাও বের হচ্ছি না। কিন্তু কিছু লোক না যেনে না শুনে বলছে আমি ঘুড়াফের করছি যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএফপিও) ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন জানান,তৈয়বুর কর্মস্থলে আসার পরেই সিভিল সার্জন  স্যারের  সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত কিনা তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
    যে বা যারা বলছে তিনি হোম কোয়ারান্টাইন মানছে না এটি বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য। তাছাড়া বর্তমান এ দুঃসময়ে পুলিশ, সাংবাদিক আর ডাক্তারই জনগণের পাশে রয়েছেন।