‘হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের হেফাজতকারী’: বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট

    0
    523

    হেফাজতে ইসলামকে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে জড়িত জামায়াতের হেফাজতকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।  

    শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী মোড়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের হত্যার পরিকল্পনা, দেশব্যাপী হত্যা, তাণ্ডব, নবী-রাসুল ও ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে এক সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।   

    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিহাদী। বক্তব্য দেন প্রগতিশীল ইসলামী জোট ও তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি, সাবেক সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জোটের কো-চেয়ারম্যান ও ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান, সম্মিলিত ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান, গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন, ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, আবুল কাশেম নূরী, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল, ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ প্রমুখ।
    ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর ভ্রান্ত মওদুদীবাদী দর্শনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বলেই তারা শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখকে একাত্তরের মতো হত্যার পরিকল্পনা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় একটি সংগঠনের নামে নেমেছে। তারা হেফাজতে ইসলামের নামে মূলত জামায়াতে ইসলামীর হেফাজতে রাজপথে নেমেছে।”

    “একাত্তরে জামায়াতে ইসলাম যেমন যুদ্ধাপরাধ করেছে, সেই সময় কওমী পন্থী আজ হেফাজতে ইসলাম নামে সংগঠনের নেতারাও ‘মুজাহিদ বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধ করেছে।”

    বক্তারা গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাকারী, মসজিদে অগ্নিসংযোগকারী, জাতীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ জনগণের সহায়-সম্পদ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
    বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে অবিলম্বে সর্বদলীয় গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা জাতীয় নির্বাচনকালে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনেরও দাবি জানান।
    বক্তারা আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা যে ইসলামের শত্রু ও গণদুশমন; তা সাতচল্লিশে, একাত্তরে ও বর্তমানে তাঁদের দুষ্কর্মসহ মানবতাবিরোধী অপকর্মের মধ্য দিয়েই বারবার প্রমাণিত হয়েছে। শুধু দেশের প্রচলিত আইনে নয়, একাত্তরে ও বর্তমানে গণহত্যায় লিপ্ত থাকাসহ ধর্মদ্রোহের জন্য ইসলামি আইনেও তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।

    সাবেক মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সমাবেশে সংহতি জানান। 

    ‘হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের হেফাজতকারী’: বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট
    ‘হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের হেফাজতকারী’: বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট