ঢাকা, ০৬ মে : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম পরিকল্পিতভাবে গতকাল রোববার নারকীয় তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে মামলার মুখোমুখি করা হবে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে হেফাজতের ১৩ দফা দাবি মানার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান মন্ত্রী। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এগুলো আমাদের সংবিধান পরিপন্থী।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেন, গতকাল হেফাজতে ইসলাম নামধারী সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব ও ধ্বংসলীলা চালিয়ে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ভবন, ব্যাংক, গোলাপশাহ মাজার, বায়তুল মোকাররম কমপ্লেক্সসহ দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে; ফুটপাতের হকারদের মালামাল লুট করেছে; শিল্পব্যাংকের পাশে সরকারি পরিবহন পুলে পার্কিং অবস্থায় থাকা ৪০টি বাসসহ বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক যানবাহনে আগুন দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, কমিউনিস্ট পার্টি অফিসে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কদ্বীপের অসংখ্য গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনা দেখে মনে হয়েছে, তারা পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব চালানোর জন্যই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া ধ্বংসযজ্ঞ ও তাণ্ডবে মেতে ওঠা হেফাজতিদের পাশে বিএনপি ও ১৮-দলীয় নেতা-কর্মীদের দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রমাণ করলেন, ওনার দিলে এতটুকু রহম নেই। উনি নিজেকে অশান্তির প্রতীকে পরিণত করেছেন। ক্ষমতার জন্য অন্ধ হয়ে গেছেন। তিনি সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র করছেন।
আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, লাইসেন্সের শর্ত ও ধারা ভঙ্গ করার কারণে দিগন্ত ও ইসলামী টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এরই ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি সাময়িক ব্যবস্থা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।