হেফাজতের হামলায় তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলের দুই সাংবাদিক ও তিন ক্যামেরাম্যান আহত

    0
    416

    হেফাজতের মহাসমাবেশে দায়িত্ব পালনের সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দুইজন সাংবাদিক ও তিনজন ক্যামেরাম্যান আছেন।
    আজ বেলা আড়াইটার পর পল্টন মোড়ে হেফাজতের কর্মীরা বেসরকারি এসএ টিভির প্রতিবেদক মহসিন কবীর ও ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এসএ টিভির বার্তা সম্পাদক বিপ্লব শাহরিয়ার জানান, মহসিন কবীর ও খোরশেদ আলম হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সাক্ষাত্কার নিচ্ছিলেন। তখন চারপাশ থেকে সংগঠনটির কর্মীরা তাঁদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁদের আহত করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান হেফাজতের কর্মীরা।
    এদিকে বিকেলে নটরডেম কলেজের পাশে এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান সোহেল রানার ওপর অতর্কিত হামলা চালান হেফাজতের কর্মীরা। হামলার সময় তাঁদের কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। হামলায় সোহেল রানা মাথায় ও পায়ে আঘাত পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হেফাজতের কর্মীরা সেখান থেকে সরে পড়েন। পুলিশ সোহেলকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
    এ ব্যাপারে সোহেল রানা বলেন, ‘বিকেলে নটরডেম কলেজের পাশে আমার ওপর হঠাত্ করে হামলা চালায় হেফাজতের কর্মীরা। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল।’
    বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়েছে, একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনকে পিটিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এছাড়াও ‘ইত্তেফাক’-এর আলোকচিত্রী সুজন হেফাজতের কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।
    হেফাজতের মহাসমাবেশ আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শুরু হয়। এই সমাবেশ বিকেল ৫টার দিকে শেষ হয়।