হিজাব পড়ায় পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ !

    0
    244

    আমারসিলেট 24ডটকম , সেপ্টেম্বর  :  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে হিজাব পড়ায় পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আনিছা পারভিন জলি প্রথম বর্ষের ১০৬ নং কোর্সের অধীনে বালাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-নির্বাচিত বিষয়বস্তু কোর্সটি পড়ান। গত ১ তারিখ থেকে তিনি মাসব্যাপী প্রেজেনটেশন (উপস্থাপনা) নেয়া শুরু করেন। এক্ষেত্রে দেখা গেছে শ্রেণীতে যে সকল মেয়েরা হিজাব (মুখ ঢেকে রাখার কাপড়) খুলতে নারাজ তাদের তিনি নিয়মিত হেনস্তা করছেন। ২০ মার্কের ঐ প্রেজেনটেশনটির টার্গেট মার্ক ১৫ হলেও হিজাব পড়া ছাত্রীদের ক্ষেত্রে তা ৩ থেকে ৪ মার্ক কম করে দিচ্ছেন তিনি।

    এর আগে তিনি ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শাড়ী পড়ে আসা বাধ্যতামূলক করে দেন। আর এর ভিন্ন হলেই বাধ সাধেন তিনি। তার মতে হিজাব ইসলাম ধর্মের কিছু নয়। এটা ইসলামে নেই। তার এসব কথায় রীতিমত ক্ষুদ্ধ অনেক শিক্ষর্থী। তবে মার্কের ভয়ে তারা কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তবে ছাত্ররা ইতিমধ্যে ছাত্রীদের এ বিড়ম্বনার কথাটি জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শতাধিক শিক্ষার্থীর রয়েছে এ শ্রেণীটিতে।

    এদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে যারা রীতিমত বোরকা ও হিজাব পড়ছে। তবে ওই শিক্ষিকার চাপে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ছাত্রী বোরকা না পড়ে শাড়ী পড়ে এসেছে। গ্রুপ ভিত্তিক এই প্রেজেনটেশনে প্রতিটি গ্রুপে মোট ১০জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। ইতিমধ্যে ৩টি গ্রুপের প্রেজেনটেইশন সমপন্ন হয়েছে। আর প্রতিটি গ্রুপের ক্ষেত্রে তার একই আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। অপেক্ষাকৃত ভাল প্রেজেনটেশন করা সত্ত্বেও হিজাব পড়ার কারণে মার্কের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে পর্দা করা ছাত্রীদের।

    প্রসঙ্গত, সাবেক পদত্যাগি উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে যে কয়টি অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। আর এই অযোগ্য শিক্ষকদের কাতারে রয়েছেন এই শিক্ষিকা। তার যে ফলাফল তাতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না। বিশেষ হ্যালোর মাধ্যমে তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে বাধ্য হন তৎকালীন উপাচার্য। তার এই অযোগ্যতার বিষয়টি ক্যাম্পাসে বেশ প্রচলিত।সুত্র,নিউজএবি