মিনহাজ তানভীরঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের জামি’আ লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম বরুনা মাদরাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) শাইখুল হাদিস আল্লামা খলিলুর রহমান বরুনার পীর সাহেব (৮০) ইন্তেকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। জানাজা শুক্রবার বিকাল ৩ টা ২০ ঘটিকায় বরুনা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং হাজারো ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা চত্বরেই দাফন সম্পন্ন হয়।
সরেজমিনে থেকে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল ৩ টায় জানাজার কথা থাকলেও রাস্তায় যানজটের কারণে ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর আবদুস শহীদ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী,খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের কওমিপন্থি নেতা কর্মিরা অংশগ্রহণ করেন।এতে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা উপজেলার বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্রসহ হেফাজতে ইসলামীর নেতারাও উপস্থিত হন জানাজা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি সুসম্পন্ন করতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম,জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র এএসপি আশরাফুজ্জামান আশিক, ওসি আব্দুছ ছালেকসহ শ্রীমঙ্গল পুলিশের এসআই,এএসআই পুলিশের একটি বিশাল টিম দিনভর কাজ করে।অপরদিকে প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা অনুষ্ঠানে প্রায় পচিশ থেকে ত্রিশ হাজারের অধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসময় শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার এর আঞ্চলিক সড়ক থেকে বরুনা পর্যন্ত সরু রাস্তায় শতাধিক যানবাহনের ট্রাফিক জ্যাম লেগে যাওয়া-আসায় বেশ বেগ পেতে হয়।জানাজা থেকে ফিরে আসার সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার আসিদ্রোন গ্রামের পুকুর পাড়ের এক মুসল্লী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়, আহত ব্যাক্তিকে প্রথমে মৌলভীবাজার ও পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার প্রেরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, সিলেটের কওমি অঙ্গনের বিশিষ্ট আলেম ছিলেন তিনি। বার্ধক্য জনিত কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন পরে কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয় পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার মধ্য রাত পৌনে ২ টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
জানা যায়, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ছিলেন তিনি। দির্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি শেখ লুৎফর রহমান হামিদীর বড় সাহেবজাদা ও মুফতি রশিদুর রাহমান ফারুকির বড় ভাই।