আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৫এপ্রিল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হাওরের জীববৈচিত্র পরীক্ষা করতে পরিবেশ অধিদফতরের একটি বিশেষজ্ঞ দল সুনামগঞ্জ পৌঁছে হাওর পরিদর্শণ করছে। রোববার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে এসে অবস্থান করেন তারা। সাত সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজি সারোয়ার ইমতিয়াজ হাশমী।
অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক সালাহ উদ্দিন চৌধুরী সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, আমরা সোমবার দিনভর জেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, দেখার হাওর, খরচার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের জীববৈচিত্র প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। হাওরের সংগৃহীত বিভিন্ন আলামত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি। আমরা রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফল সরকারকে জানাবো।
এদিকে, রোববার সকালে সুনামগঞ্জের খরচার হাওরের পানি পরীক্ষা শেষে এখন পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন আনবিক শক্তি কমিশনের প্রধান ড. দিলীপ কুমার সাহা।
এর আগে প্রতিনিধিদলটি খরচার হাওরে পানিতে নেমে দীর্ঘক্ষণ তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করেন। পরে তিনি জানান, ঢাকায় আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। খরচার হাওরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে ০.২০ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা থাকে, সেক্ষেত্রে হাওরে রয়েছে ০.১০; যা প্রায় অর্ধেক।
আণবিক শক্তি কমিশনের সদস্য ড. দিলীপ কুমার সাহার নেতৃত্বে থাকা এ দলের অপর দুই সদস্য হলেন, ড. বিলকিস আরা বেগম এবং কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীস পাল।
অন্যদিকে, গত শনিবার হাওরের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা পানিতে ইউরেনিয়ামের উপস্থিতির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ও কোথাও কোথাও বাঁধ না হওয়ায় গত ৩০ মার্চ থেকে একের পর এক হাওর তলিয়ে যাওয়ার পর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ বোরো চাষি সর্বশান্ত হয়ে যায়। জেলাজুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।