হাই কোর্টে জামিনঃবিবাদীর বাড়িতে বাদী পক্ষের হামলা

    0
    487

    আমারসিলেট24ডটকম,৩১জানুয়ারীঃ সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টে জামিন নেওয়ার পরও হত্যা মামলার আসামীদের উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে বাদী পক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শিরিকান্দী গ্রামের তৈয়ব আলীর বাড়িতে। জানা যায়, শিরিকান্দী গ্রামের আব্দুস ছত্তারের ছেলে ফুল মিয়া (২০) বেগুণ ক্ষেতে কাজ করতে গেলে মৃত্যু হয়। এর পর একই গ্রামের হাজী তৈয়ব আলী ও তার ছেলে শরীফ উদ্দিন, আরজু মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামী পক্ষরা আত্মগোপন করে এবং তাদের বাড়িঘর ও আত্মীয় স্বজনদের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করে আসামী পক্ষ। সম্প্রতি এক পর্যায়ে আরজু মিয়া ও রফিক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপর দুই আসামী হাজী তৈয়ব আলী ও তার ছেলে শরীফ আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ইং তারিখে হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর পরই বাদী পক্ষ ছত্তার মিয়া ও আব্দুল মন্নানসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তৈয়ব আলীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং আসামীদেরকে এক পর্যায়ে এলোপাতারী মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ আসামী পক্ষকে উদ্ধার করে এবং বাদী পক্ষদেরকে শান্ত করেন।

    উল্লেখ্য যে, গত ৫/১০/২০১৩ইং তারিখে শিরিকান্দী গ্রামের ছত্তার মিয়ার ছেলে ফুল মিয়া বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বেগুণ ক্ষেতের পরিচর্যা করতে ওই দিন সকালে যায়। সে দিনের বেলায় আর বাড়িতে না ফেরায় তার স্বজনরা খোজাখুজি করে এক পর্যায়ে বেগুণ ক্ষেতের পাশের নালাতে মৃত অবস্থায় ফুল মিয়াকে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এস. আই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফুল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে হবিগঞ্জ মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ফুল মিয়াকে দাফন করা হয়।

    ওই দিন একটি অপমৃত্যু মামলা থানায় দায়ের করা হয়। অপমৃত্যু মামলার বেশ কিছুদিন পর গত ২৩/১০/২০১৩ইং তারিখে ফুল মিয়ার ভাই আব্দুল মন্নান বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে হাজী তৈয়ব আলীসহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং হাজী তৈয়ব আলী ও শরীফ উদ্দিন হাই কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছে। আসামী পক্ষরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছে।