হাই কোর্টের ইনঞ্জেকশন উপেক্ষায় বালু বিক্রির সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশে প্রশাসনের টনক নড়েছে

    0
    208

    আমার সিলেট ডেস্ক, ২৪ আগস্ট,চুনারুঘাট প্রতিনিধি : হাই কোর্টের ইনঞ্জেকশনকে অপেক্ষা করে চুনারুঘাট উপজেলা চন্ডীছড়া চা বাগান এলাকার বালু মহাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ হবিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের টনক নড়েছে। গত ২২ আগস্ট বিকাল ২টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কার্যালয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চন্ডী চা বাগান ম্যানেজার ও ইজারাদার দুলাল মিয়াকে তলব করেন। ভূমি অফিস কর্তৃক একটি নোটিশে উল্লেখ করা হয় উভয়পক্ষের সকল প্রকার মূল কাগজপত্রাদিসহ উপস্থিত থাকিতে হইবে।

    এ মর্মে উল্লেখিত তারিখে লিজধার ও রিটকারী দুলাল মিয়া কাগজপত্র সহকারে উপস্থিত হলেও বাগান ম্যানেজার মুরাদ চৌধুরী আসেননি। কিন্তু বাহকের মাধ্যমে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সময় নিয়েছেন বলে জানা যায়। প্রশাসন তলবের পরেও বালু উত্তোলন চলছে এ নিয়ে মহালদারসহ সচেতন মহলের মাঝে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। উল্লেখ্য যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ চন্ডীছড়া চা বাগান এলাকা থেকে চা বাগান পরিস্কারের নামে বাগান ম্যানেজার মুরাদ চৌধুরী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে নিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল।

    কিন্তু অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলার ইনাতাবাদ গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া গত ৩০/০৭/২০১০ইং তারিখে ইজারাদার দুলাল মিয়া হাইকোর্টে রুল নিশি জারী করেন। রুল অনুযায়ী হাই কোর্ট কারণ দর্শানোর জন্য পরবর্তীতে আদেশ জারী করেন। রুলের পরবর্তী গত ০৯/১০/২০১২ইং তারিখে হাইকোর্ট উক্ত বালু মহাল এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।

    হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বাগান ম্যানেজার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক কিছু নেতাদের নিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে ট্রাক, ট্রাক্টর দিয়ে বালু বিক্রি করে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিশাল টাকার রাজস্ব। এ ব্যাপারে গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয়দৈনিক পত্রিকায় উক্ত সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনের টনক নড়েছে।