হাইকোর্টে সাংবাদিক,আইনজীবীও কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি

    0
    257

    আমারসিলেট24ডটকম,১২মার্চঃ হাইকোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনজীবী ও তাঁদের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চের কার্যক্রম শুরুর সময় এজলাস কক্ষে দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে সাংবাদিকদের বাগ্‌বিতণ্ডা এবং একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান।
    জানা গেছে, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তলব করেন হাইকোর্ট। তলব অনুযায়ী সাংবাদিকরা সকাল ১০টার দিকে আদালতে আসেন। এ সময় আইনজীবীরা এজলাস কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সরে যেতে বললে সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে ব্যাপক হৈ চৈ ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সালেহ উদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও হট্টগোল চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে আদালত কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়।
    পরে সাংবাদিকরা বারান্দায় জড়ো হলে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের সমর্থকরা সাংবাদিকদের আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আবারও তাদের মধ্যে বাগবিণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বৈশাখী টিভির নারী সাংবাদিকসহ পাঁচজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত দুটি লেখা নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে তলব করেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
    ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি আলাদা বিবৃতি দিলে দৈনিক সমকাল ও নয়া দিগন্ত তা প্রকাশ করে। পররে দিন রোকন উদ্দিন ওই দুটি পত্রিকার প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে বিচারক আদালত অবমাননার রুল দেন।

    এই বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এম জসিম ও সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন ও সেক্রেটারি এম সুজাউল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল বলে জানা গেছে।কালেরকণ্ঠ