হাইকোর্টের নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে বিএনপি

    0
    215

    ডেস্ক নিউজঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে বিএনপি। ৬৪টি জেলার যে কোন একটি আসনের অনিয়মের প্রামাণ্য তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হবে আদালতে। আইনি লড়াইয়ের জন্য একটি আইনজীবী প্যানেলও গঠন করবে বিএনপি। তারা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আদালতে মামলা দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

    গতকাল শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৬০ জন প্রার্থীর সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে মামলা করার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।

    দলের বরিশাল-১ আসনের এমপি প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন ইত্তেফাককে জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবগুলো জেলার মধ্য থেকে যেকোনো একজন প্রার্থী সবার পক্ষ থেকে মামলা করবেন। এছাড়া আরো যতজন চাইবেন মামলা করতে পারবেন। সকলকে দলীয়ভাবে আইনগত সহায়তা করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০০৮ এর ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের ফলের গেজেট গত ১ জানুয়ারি প্রকাশ হয়। সে হিসাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মামলা করার সময় আছে। হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    বৈঠক সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দাবি তুলে দলগতভাবে মামলা করার কর্মসূচি ঘোষণা করলেও শেষ পর্যন্ত সরে এসেছিল বিএনপি। ট্রাইব্যুনালে মামলার বিষয়টি হয়ে পড়েছিল অনিশ্চিত। তবে নানামুখী আলোচনা-পর্যালোচনার পর শেষ পর্যন্ত মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ।

    দলের একজন নেতা জানান, বিচার বিভাগ যতই পক্ষপাতিত্ব করুক না কেন, তাদের দেওয়া তথ্য-প্রমাণকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এমন বিবেচনা থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতীকী মামলা করার সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বিএনপি।

    গতকাল বৈঠকে ৬০জন প্রার্থী তিনটি গ্রুপে পৃথকভাবে অংশ নেন। এসময়ে প্রায় প্রত্যেক নেতা নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী করণীয় নিয়ে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে রাতের অন্ধকারে ডাকাতি ও জালিয়াতি হয়েছে তা পৃথিবীর কোথাও হয়নি। কোন কারণে বিচার বিভাগে তারা সুবিচার না পেলেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ডকুমেন্টস হিসেবে এ মামলার গুরুত্ব রয়েছে।

    একজন প্রার্থী বলেন, ৬৪টি জেলা থেকে একজন বা বহুজন মামলা করবেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। প্রত্যেকটি আসন থেকে মামলাকারী প্রার্থীকেই একসঙ্গে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান।

    প্রার্থীদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোলার মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বরিশালে জহিরউদ্দিন স্বপন, পিরোজপুরের রুহুল আমিন দুলাল, পটুয়াখালীর এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মাগুরার নিতাই রায় চৌধুরী, পাবনার হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকার নবীউল্লাহ নবী ও ইরফান ইবনে আমান অমি, ফরিদপুরের শামা ওবায়েদ প্রমুখ।ইত্তেফাক