হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ট অর্থ আদায়কারী মাধবপুরের এসিল্যান্ড

    0
    309

    পিন্টু অধিকারী মাধবপুর প্রতিনিধিঃ   “এ পৃথিবীর যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”কবিতার ছন্দের সাথে বাস্তবজীবনে এক নারীর অনেকটাই মিল পেয়েছে মাধবপুর উপজেলার জনগন। হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলার মধ্যে বিচার বিভাগের কোষাগারের সর্বোচ্চ অর্থ জমাদানকারী ও সরকারি রাজস্ব আদায়ের ঊর্ধ্বে রয়েছেন মাধবপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার(ভূমি) আয়েশা আক্তার।

    নারী কর্মকর্তা হিসেবে বিগত ১ বছরের কর্মজীবনে চষে বেড়িয়েছেন ১১টি ইউনিয়ন সমৃদ্ধ উপজেলার সর্বত্র। অভিযান পরিচালনা করেছেন বর্ষার ভরা মৌসুমে ভাটিঅঞ্চল, সীমান্তের সন্নিকটে, গহিন অরণ্যেও।

    ৩৪তম বিসিএস’র ওই নারী কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থেকে সহকারি কমিশনার হিসেবে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন হবিগঞ্জের মাধবপুরে। গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর পূর্ন করেছেন মাধবপুরের কর্মজীবনের ১ বছর।

     মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী সহ অবৈধ কার্যকলাপে জড়িতদের আতঙ্ক ওই লেডি অফিসার নিজ কার্যালয়সহ মাধবপুরের সর্বাধিক জনগনের কাছে স্বচ্ছ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের এই দিনে যোগদানের পর থেকে নিজ অফিসকে দালালমুক্ত রাখতে নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করছেন। ভোক্তা অধিকার, অবৈধ যানবাহন, মাটি বালু ব্যবস্থা, বাল্য বিবাহ, মহামারি করোনা’কালিন সময়ে লোক জমায়েত করে অনুষ্টানের আয়োজনসহ নানাবিধ অপরাধের জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ পর্যন্ত তিনি আদায় করেছেন ২১লক্ষ ১৭হাজার, ৬শ ৬০টাকা। যেগুলো বাংলাদেশ সরকাররের বিচার বিভাগীয় কোষাগারে সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট চালানের মাধ্যমে জমা হয়েছে।.

    অপর দিকে নাম খারিজের ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদের মাধ্যমে গত ১ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪শ ৩৩টাকা যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশী। প্রায় ৩হাজার নাম জারি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে অবৈধ দখলকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ একরেরও বেশি ভূমি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ওই মহিলা কর্মকর্তা ৬০জন ভূমিহীন পরিবারকে স্বচ্ছতার সহিত সম্পন্ন করেছেন ভূমি বন্দোবস্ত কার্যক্রম। ভূমিসেবা সহজিকরনে সেবা গ্রহীদের সরাসরি কথা শুনার পাশাপাশি নিজ কার্যালয়কে ঘিরে তৈরী হওয়া দালালকে দিয়েছেন কারাদন্ডও । সেবা ও সাঁজা এই দুই বিপরীত ব্যবস্থা বাস্তবায়নে দ্বায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন এসিল্যান্ড আয়েশা আক্তার সরকারি নিদের্শনা অমান্যকারীদের যেমন সাঁজা দিচ্ছেন তেমনি দিবারাত্রিতে সেবাও নিশ্চিত করছেন। নারী অফিসার হিসেবে মাধবপুর উপজেলার সর্বত্রই রয়েছে তার নখদর্পে। বে-আইনী কার্য সম্পাদনকারীকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদানের সাথে সাথে অসহায় নির্যাতিতদের কাছে তিনি বটবৃক্ষ।

    সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ সেই সকাল থেকে রাত অবধি আয়েশা আক্তারের ছুটে চলায় মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে আখ্য পেয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েশা আক্তার হবিগঞ্জের খবর কে বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বাধিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমি সকলের সহযোগিতা চাই।