হবিগঞ্জে ১৩০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল ৪৪ জন

0
482
হবিগঞ্জে ১৩০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল ৪৪ জন

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে মাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছে ৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী রয়েছে ৭ জন।

শুক্রবার ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ভাইভা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী। এর আগে ভাইভা পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত হয় ১০৭ চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থী।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর মাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে পুলিশের চাকরি পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে এতিম, চা-শ্রমিক ও দিন মজুরের সন্তানেরা।

নিজের পড়া লেখা চালিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো জাহেদ আহমদ নামে এক চাকরি প্রত্যাশী। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে ২য় জাহেদ। বাবা দিনমজুর হওয়ায় প্রাইভেট পড়িয়ে যেই টাকা আয় হতো সেই টাকা দিয়েই চালাতো সংসার। অবশেষে পুলিশের চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সে। জাহেদ আহমদ লাখাই উপজেলার ঢ়াঢ়িশাল গ্রামের আসাদ আলীর পুত্র।

চাকরি প্রত্যাশীদের অভিব্যক্তি জানতে চাইলে মেধা তালিকায় ২য় হওয়া ইমদাদুল ইসলাম সাগর নামে এক যুবক জানান, ‘পুলিশ সম্পর্কে আমার ভূল ধারণা ছিল। রাস্তা-ঘাটে প্রায়ই মানুষের মুখে শুনতাম পুলিশ ঘুষখোর, টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হয় না। কিন্তু সেই ধারণা এখন আমার পাল্টে গেছে। আমি মাত্র ১৩০ টাকায় মেধা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছি।

পুলিশ লাইন্সে ভাইভা শেষে ফলাফল ঘোষণা কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এ,বি,এম, মোজাহিদুল ইসলাম পিপিএম, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চকমাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য, মাত্র ৪৪ জনের নিয়োগ পরীক্ষায় হবিগঞ্জ জেলায় শারিরীক পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ হাজার ৭শত ৬০ জন। এর মধ্যে ৩৬৫ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১০৭ জন। ১০৭ জন থেকে ভাইভা শেষে ৪৪ জনকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়াও ৮ জনকে অপেক্ষমান হিসেবে রাখা হয়েছে।