হবিগঞ্জে বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান বাবুল গ্রেপ্তার

    0
    256

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১মার্চ, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ   হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে সমালোচিত স্কুল ছাত্রী বিউটি আক্তার হত্যা ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে অবশেষে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মার্চ) সকালে বাবুল মিয়াকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বিউটি হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে আটক করে পুলিশ।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মনডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর কন্যা ও স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বিউটি আক্তার (১৫) এর সঙ্গে একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবুল গত ২১ জানুয়ারি বিউটিকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
    এ ঘটনায় ১ মার্চ বিউটি আক্তারের বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৪ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
    পরে সায়েদ আলী ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই বিউটি আক্তার নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক স্থানে খোঁজাখুজির পর কোথাও না পেয়ে পরের দিন ১৭ মার্চ সকালে শায়েস্তাগঞ্জ হাওরে বিউটি আক্তারের লাশ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বাবুল পলাতক রয়েছে।

    বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে পরদিন তার বাবা বাদী হয়ে বাবুল মিয়া ও দুই জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা ইউপি সদস্যা কলম চাঁন ও ঈসমাইল নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
    অন্যদিকে কিশোরী বিউটি আক্তারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
    হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা এ কমিটি গঠন করেন।
    এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আ স ম শামছুর রহমান ভূঞাকে। অপর দুই সদস্য হলেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা এবং হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) নাজিম উদ্দিন।
    পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।