হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলছিল বিয়ের ধুমধাম উৎসবের

    0
    210

    সানিউর রহমান তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ তখনই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এনাতাবাদ গ্রামে চলছিল বিয়ের ধুমধাম আয়োজন। শুধু তাই নয়, বিয়ে বাড়িতে উৎসবের অংশ হিসেবে পুরোধমে চলছিল উচ্চ আওয়াজে গান-বাজনা। আর ঠিক সেই মুহুর্তে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সচেতনতার অংশ হিসেবে প্রশাসনের হানায় ভণ্ডুল হয়ে গেছে বিয়ের আয়োজন। সেই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিয়ের কোনো ধরণের আয়োজন না করা শর্ত মোতাবেক মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পায় কনে পক্ষ। বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে নেকরাজ মিয়ার বাড়িয়ে গিয়ে বিয়ের আয়োজন ভেঙে দেয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
    জানা যায়, উপজেলার এনাতাবাদ গ্রামের নেকরাজ মিয়ার মেয়ের সাথে একই উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলের বিয়ে সোমবার (৩০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের আয়োজন হিসেবে কনের গ্রামে চলছিল বিয়ের ধুমধাম আমেজ-উৎসব। বিয়ের আয়োজন হিসেবে মাইক-স্পীকার দিয়ে উচ্চ আওয়াজে চলছিল গান-বাজনা। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে এমন গণসমাবেশ আয়োজনের খবর পায় প্রশাসন। এ সময় তাৎক্ষণিক রাত ১১টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের নির্দেশে এস আই সমীরণ চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে মাইক-স্পীকারের গান-বাজনা বন্ধ করে দেন। এবং করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমনকি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিয়ের গায়ে-হলুদ কিংবা কোনো আয়োজন না করা শর্তে মুচলেকা দেন কনের বাবা নেকরাজ মিয়া।
    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এতো মাইকিং, এতো সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা এবং নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এনাতাবাদ গ্রামে বিয়ের আয়োজনের অংশ হিসেবে মাইক-স্পীকার দিয়ে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে সেখানে তাৎক্ষণিক একদল পুলিশ পাঠাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গান-বাজনা বন্ধ করে দেয়। এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কোনো ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার শর্তে কনের পিতাকে মুচলেকা দেয়া হয়।