স্মৃতির ক্যানভাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন মজুমদার

    0
    197
    স্মৃতির ক্যানভাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার
    প্রানপ্রিয় মানুষের অকাল প্রয়ান প্রতিটি মানুষকে গভীর বেদনার সাগরে ভাসায়। দগ্ধ করে। নি:শেষ করে দেয়। কিছু প্রিয় মানুষের না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার সাথে কিছু শিক্ষা নিভৃতে শিখিয়ে দিয়ে যায়।নিরন্তর সে শিক্ষা একান্ত বুকে চেপে জীবনের নিয়ম মেনে নেয় ।
    জীবন বহমান। সকল হারানো কিংবা শোক-তাপের ঊর্ধেও জীবন স্বীয় গতিতে চলবে। এটাই চিরন্তন সত্য। স্মৃতি শুধুই স্মৃতি। কিছু স্মৃতি বড়ই বেদনাদায়ক। কিন্তু স্মৃতিকে যেমন ভূলে থাকা যায় না তেমনি অস্বীকারও করা যায় না।
    এডভোকেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার গত ৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ দুপুর ৩:৩০ মিনিটে কারডিয়েক এরেস্টে হাসপাতালে ৬৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুর সময় তিনি এক ছেলে,দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
    বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ  দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর  সিনিয়র আইনজীবী  এবং মজুমদার এন্ড ব্রাদারসের প্রোপাইটর। তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
    তিনি ষাটের দশকে ঢাকা  ইউনিভার্সিটির পলিটিকল সাইন্স ও আইনে অধ্যয়নরত অবস্তায় রাজনিতিতে জরিয়ে পরেন।নব্বইয়ের দশকে তিনি পর পর ৩ বার নির্বাচিত জেল ভিজিটর ছিলেন। সেই সময় তিনি প্রথম জেলে ডাল ভাতের সাথে মাছ মাংস সংযোজন করে সবার  আলোচনায় আসেন। তিনি বহুবার চাঁদপুর শাহারসি ৫ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নমিনেশন প্রত্যাশী  ছিলেন।তিনি তার এই জীবনকালে মসজিদ, মাদ্রাসা,স্কুল, ব্রিজ  সহ এলাকার জন্য অনেক কাজ করে গেছেন।
    বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ  দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের বলাখালে জন্মগ্রহণ করেন।৪নং কালচোঁ ইউনিউনের মারামুরায় মজুমদার  বাড়িতে তার জন্ম।
    ব্যক্তি জীবনে নির্মোহ এই মানুষটি যুদ্ধর সময় দেশের জন্য আর যুদ্ধ-পরবর্তী সময় দেশের মানুষের জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
    বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোঃ  দেলোয়ার হোসেন মজুমদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,অস্টেলিয়া আওয়ামী লীগ,অস্টেলিয়া বিএনপি,সাবেক মন্ত্রীরা,বাংলাদেশ আওয়ামী বার কাউন্সিল,অস্টেলিয়া কেনটাবারি কাউন্সিলর সহ আরও অনেকেই তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান।
    গত ১৮ই অক্টোবর  তার ঢাকার বেইলি রোডের বাসায় এক দোয়ার আয়োযন করা হয়। এতে তার আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী অংশগ্রহন করেন।
    এভাবেই কেটে গেছে এই সরলপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধার জীবন। জীবনের শেষ সময়টা ঢাকার  নিজ রাড়িতে বেশ নিভৃতেই কাটিয়ে দেন তিনি। জীবন থেকে বিদায়ও নেন নীরবেই। নিভৃতচারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।