স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই যেখানে অসুস্থ রোগীরা কি সেবা পাবে ?

0
403
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই যেখানে অসুস্থ রোগীরা কি সেবা পাবে ?
সিলেটের জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একটি শৌচাগারের চিত্র।

রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেখানে নিজেই অসুস্ত সেখানে আগত সেবা প্রত্যাশীরা চিকিৎসা সেবা কতটুকু পাবে এমন প্রশ্ন সচেতন নাগরিকদের। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই ? এমন ধারনাও অনেকের।

সরেজমিনে সিলেটের জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, নতুন ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন চিকিৎকরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোভিট-১৯ এর জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যেখানে টিকা প্রদান করা হচ্ছে সেখানের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।

জরুরী প্রয়োজনে রোগী কিংবা রোগীর স্বজনরা এমনকি টিকা গ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়াশ ব্লকে যাওয়ার কোন উপায় নেই। রোগীর স্বজনদের অনুরোধ উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এমন অবস্থাই বলে দিচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার মান কি ? জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে দীর্ঘ দিন হতে সেবা প্রত্যাশীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। অপরদিকে ডাক্তাদের ভিজিট করতে সময়ে অসময়ে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ এবং ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের দাবী যেখানে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবেশ নোংরা, সেখানে রোগীর চিকিৎসা সেবা কি করে হবে ?

জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন আমি চলতি মাসের ২ জানুয়ারী এই ষ্টেশনে যোগদান করেছি। বর্তমানে প্রশিক্ষনের জন্য ঢাকায় রয়েছি। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জৈন্তাপুর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মমি দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি নতুন বিল্ডিংয়ে দৃশ্য। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের লোকজন দেখা শুনা করেন। মেডিকেলটিতে জনবল সংকট ২জন ক্লিনার রয়েছে একজন রাতে একজন দিনে ডিউটি করছে। তিনি স্বীকার করেন ময়লা গুলো দীর্ঘ দিন হতে জমেছে। আগামী দিন এগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূসরাত আজমেরী হক জানান, বিষয়টি দু:খজনক, যথাযত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, অনেকেই বিভিন্ন সময় আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কয়েকবার পরিদর্শন করে তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছি। তারপরও এই অবস্থা সত্যিই দু:খ জনক। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলছি। তিনি আরও বলেন আপনারা নিয়মিত বিষয়গুলো আমাদের দৃষ্টি আর্কষণ করবেন। সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হলেও তারা কিছু বলতে চায় না।