স্বামীর সহায়তায় স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার! আটক-৪, বাকিরা পলাতক

0
796
স্বামীর সহায়তায় স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার! আটক- ৪, বাকিরা পলাতক

নুরুজ্জামান ফারুকী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলাতে স্বামীর সহায়তায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৬ মাস বয়সী সন্তানের মাতা এক গৃহবধূ (২৫)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ আগস্ট ২০২১) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে তাদেরকে আটক করে নিঝুমদ্বীপ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের জেলে কলোনীর এনায়েতের ছেলে আক্তার (২৭), একই ইউনিয়নের বান্দাখালী গ্রামের মাকসুদুল হকের ছেলে হক সাব (৩৪), মদিনা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল প্রকাশ রোহিঙ্গা সোহেল (৩০) ও জেলে কলোনীর মৃত সাইদুল হকের ছেলে রাশেদ মাঝি (৪২)।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম।
ওসি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই ২০২১) দুপুরে আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
মামলার তথ্য ও ভুক্তভোগী নারীর সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা গৃহবধূ চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৬ মাস বয়সী শিশু কন্যাসহ তার স্বামী সোহেল ওরফে রোহিঙ্গা সোহেলের কাছে যাওয়ার জন্য তিনি হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ঘাটে পৌঁছলে তার স্বামী সোহেলসহ ৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৩ ব্যক্তি তার হাতে ও মুখে ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বান্দাখালী গ্রামের মোক্তারিয়া ঘাট থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্ব দিকে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার স্বামী সোহেলের সহায়তায় অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।“