স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে ৩১৫ জন চরমপন্থীর আত্মসমর্পণঃস্বাবলম্বীর আশ্বাস

0
183

আমার সিলেট ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জসহ ৭ জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।এসময় তারা ২০০টি অস্ত্র জমা দেন।

আজ রোববার (২১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র‍্যাব-১২ সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানিয়ে স্বাবলম্বী করার আশ্বাস দেন।

সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে এক সময় বেশ কয়েকটি চরমপন্থী সংগঠনের দৌরাত্ম্য ছিল। তাদের কারণে আতঙ্কে থাকতো সাধারণ মানুষ। পরিবার থেকেও দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিল এসব সংগঠনের কর্মীরা।

তবে অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে এসেছেন ৩১৫ জন চরমপন্থী। রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র‍্যাব- ১২ সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন তারা। জমা দেন ২০০টি অস্ত্রও। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানিয়ে চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথকে মসৃণ করতে সকল ভূমিকা পালন করবে সরকার। আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগতম। একইভাবে এখনো চরমপন্থা অবলম্বনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই র‍্যাবকে সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, আধুনিক করা হচ্ছে, কেউ যদি ভাবেন পালিয়ে পার পাবেন সেটা হবে না।

তিনি বলেন, ৮০ দশকে চলনবিলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থীদের ঘাঁটি গড়ে ওঠে। নিজেদের আদর্শিক দ্বন্দ্বে এরা নানা নামে বিভক্ত। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এরা সকলেই এক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রথম চরমপন্থীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উৎসাহিত করে।

সরকার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দেওয়ায় স্বস্তি জানান আত্মসমর্পণকারী ও তাদের স্বজনরা।

র‍্যাব প্রধান খুরশিদ হাসানের সভাপতিত্বে চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহম্মেদ এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, তানভির শাকিল জয় এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, অধ্যাপক আব্দুল আজিজ এমপি, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাব-১২ অধিনায়ক মিারুফ হাসানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।