স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যুক্ত হলো আরো একটি স্প্যান। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জাজিরা প্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর খুঁটির ওপর ধূসর রঙের ‘৬ডি’ নম্বর এই স্প্যানটি বসিয়ে দেয়া হয়। এই নিয়ে জাজিরা অংশে সেতুটি দৃশ্যমান হলো ১২০০ মিটার।ইত্তেফাক থেকে
এর আগে ক্রেনবাহী জাহাজের নোঙ্গর জটিলতায় বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর ৯ম স্প্যানটি বসানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকালে ৭টা থেকে এটি ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারে বসানোর সব কাজ শুরু করতে গিয়ে নোঙ্গর সমস্যাটি ধরা পরে।
দায়িত্বশীলরা জানান, এখানে বুধবারের ঝড়ের কারণে বিশাল জাহাজ ‘তিয়ান ই’র এ্যাংকরের একটি তার ছিড়ে যায়। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক আবার জাহাজটি যথাযথভাবে নোঙ্গর করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে নানা কারণে নতুনভাবে নোঙ্গরে সময় বেশি লেগে যায়। তাই সিডিউল পরিবর্তন করে শুক্রবার সকালে নবম স্প্যানটি বসানো হয়।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওয়ানা দিয়ে ১২ টার দিকে জাজিরায় পৌছে নবম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬ডি’। তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য স্প্যানটি তিন হাজার ৬ শ’ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমানক্রেন ‘তিয়ান ই’ ৩৫ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করে।
সেতু সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ইতোমধ্যেই বসানো হয়েছে জাজিরা প্রান্তে ৮টি এবং মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান। যদিও মাওয়া প্রান্তের স্প্যানটি বসানো রয়েছে ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে। এটি পরবর্তীতে সরিয়ে নেয়া হবে ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ পিলারে স্প্যান বসানো হয়েছে।