স্কটল্যান্ডকে তিন উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড

    0
    231

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৭ফেব্রুয়ারী: স্কটল্যান্ডকে তিন উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৪ ওভার ৫ বল খেলেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
    ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮ রানেই সাজঘরে ফেরেন মার্টিন গাপটিল (১৭)। এরপর দলীয় ৪৮ রানে গাপটিলের পথ ধরেন ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম (১৫)। ব্যক্তিগত স্কোর দুই অঙ্কের ঘরে না পৌঁছতেই বিদায় নেন রস টেইলর (৯)। দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন ইলিয়ট। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলীয় স্কোর ১০০ রান পার করান ইলিয়ট। এরপর ১০৬ রানে উইলিয়ামসনের (৩৮) বিদায়ের পর দলীয় ১১৭ রানে সাজঘরে ফেরন ইলিয়ট (২৯)। এতে ম্যাচ কিছু নাটকীয়তা পায়। জয়ের জন্য যখন মাত্র ৬ রানের প্রয়োজন তখন সাজঘরে ফেরেন আরও দুই কিউই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ড্যানিয়েল ভেট্টোরির বাউন্ডারিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে স্বাগতিকরা। এর ফলে টানা দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেয় কিউইরা। স্কটিশদের পক্ষে ওয়ারডেল ও ডেভি তিনটি করে উইকেট নেন।
    আজ মঙ্গলবার ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডের। মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দ্বিতীয় ওভারেই পরপর দুই বলে ক্যালাম ম্যাকলয়েড ও হ্যামিশ গার্ডিনারকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান বোল্ট। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া ম্যাট মাচান পৌঁছান অর্ধশতকে।
    পঞ্চম ওভারে পরপর দুই বলে কাইল কোয়েটজার ও অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেনকে বিদায় করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান সাউদি। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া রিচি ব্যারিংটনও পান অর্ধশতক। পঞ্চম উইকেটে মাচান ও ব্যারিংটনে প্রতিরোধ গড়ে স্কটল্যান্ড। ৯৭ রানের চমৎকার এই জুটি ভাঙার কৃতিত্ব এন্ডারসনের। মাচানকে ম্যাককালামের ক্যাচে পরিণত করে ২৩.৩ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন তিনি। ৫৬ রান করা মাচানের ৭৯ বলের ইনিংসটি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ। নিজের পরের ওভারে ব্যারিংটনকেও ফেরান এন্ডারসন। ৮০ বলে খেলা ব্যারিংটনের ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ৪টি চার ও ১টি ছক্কায়। এক সময়ে স্কটল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১২৯ রান। কিন্তু এরপর মাত্র ১৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারানোয় দেড়শ’ পর্যন্তও যেতে পারেনি বিশ্বকাপে কোনো জয় না পাওয়া দলটি।
    এন্ডারসন ও ভেটরি নেন ৩টি করে উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট ও সাউদি।