সৌদিতে সালাম দালালের খপ্পরে হবিগন্জের ১০ পরিবার

    0
    368
    মিজানুর রহমান, সৌদি আরব থেকেঃ  বিলাশ বহুল স্বপ্ন নিয়ে সৌদি এসে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে হবিগন্জের চুনারুঘাটের ১০টি পরিবার। ভাল চাকুরী ভাল বেতনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দালাল আব্দুস সালাম তার নিজ এলাকা গাজীপুর ও মিরাশী ইউনিয়ন থেকে- মনির মিয়া দুধপাতিল, ফারুক মিয়া বড়াব্দা সুলতান মিয়া আমতলা,আক্তার মিয়া বনগাঁও,জুয়েল মিয়া দুধ পাতিল,ফরিদ মিয়া বনগাও,ছায়েদ মিয়া বনগাও,ফরিদ মিয়া জারুলিয়া,জাকির মিয়া দুধ পাতিল তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সৌদি নিয়ে আসেন।
    পর্যায়ক্রমে তারা আসার পর থেকে আঃ সালাম তাদের আর কোন খোজ নেয়নি। অনলাইন বন্দু রাসেল এর সহযোগিতায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় তাদের দুঃখ দুর্দশা ও জানা যায় দালাল সালামের বিরুদ্বে থাকা নানা অভিযোগ। জানালেন তাদের বুকপাটা আর্তনাদ। তারা জানান আসার পর ৬ মাসের মধ্যে তাদের আকামা চাকুরী কিছুই হয়নি।
    সালাম এ পর্যন্ত তাদের কোন খবরই নেয়নি। ফোন করলে তাদের গালিগালাজ করে বলে কখন ও ফোন না করার কথা। তারা বর্তমানে দাম্মামের জোবাইল প্রদেশে মরুভুমির অস্হায়ী একটি ক্যাম্পে অবস্হান করছেন। কখন ও এক টুকরু রুটি  খেয়ে কখন ও না খেয়ে কাটিয়েছেন  বিগত ছয়টি মাস। তারা এখন কোথায় যাবেন?  কি খাবেন? কি চাকরী করবেন? পকেটে তাদের আকামাই নেই।
    অনেকেই জমি বিক্রি করে কেউ ফসল সহ জমি বন্দক রেখে আবার কেউ সুদ করে আসছিলেন জীবনে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে। কি হবে তাদের ১০টি পরিবারের। কেন এমন নির্মম আচরন করলো  প্রতারক আঃ সালাম এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের প্রতিনিয়ত। সেখানে নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের এমন মানবেতর জীবন যাপন দেখে বাকরুদ্ব হয়ে পড়েছিলাম।
    তারা কি করবে পরামর্শ দিতে চাইলে স্হানীয় লেবার কোর্টের আশ্রয় এবং বাংলাদেশে স্হানীয় প্রশাসনকে অবগত করার পরামর্শ প্রদান করে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ক্যাম্প ত্যাগ করি।