সৈয়দ মোস্তফা কামাল স্মরণে

    0
    516

    আমারসিলেট24ডটকম,১৫জানুয়ারীঃ না-ফেরার দেশে-আপন আলয়ে চলে গেলেন সৈয়দ মোস্তফা কামাল। তিনি সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ তথা শেকড়সন্ধানী একজন খ্যাতিমান লেখক-গবেষক ছিলেন। তিনি  গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ ঈসায়ী শুক্রবার রাত পৌনে এগারোটায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন। এই প্রবীণের কর্মচান্ছল্যতা দেখে অনেক সময় উজ্জীবীত হতাম। তাঁর কর্ম সাধনা নিঃসন্দেহে তারুণ্যের কর্ম প্রেরণার উৎস। তিনি স্বকীয় ইতিহাস ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশে সবর্দা সচেষ্ট একজন আজীবন অনুসন্ধানী শিকড় এবং শেকড় সন্ধানী গবেষক । রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও জমিয়ত নেতা এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরীর শশুর হিসেবে সৈয়দ সাহেবকে তালই বলেই সম্বোধন করতাম। তার সাথে আমার অল্প ক‘দিনের পরিচয় হলেও সম্পর্কছিলো অনেক দিনের আগের মতো। তার একটি বইয়ের ভেতর মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন খানের সাথে আমার একটি ছবি স্থান পেয়েছিলো! ছবিটি ছিলো জালালাবাদ লেখক ফোরাম কর্তৃক মাওলানা মুহিউদ্দীন খানকে ১৯ মার্চ ২০০৯ ঈসায়ী সিলেট জেলা পরিষদ হলে স্বর্নপদক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে সিলেটের তৎকালীন মেয়র বদর  উদ্দীন আহমদ কামরান, কবি আব্দুল হাই শিকদার,সৈয়দ মোস্তফা কামালসহ অনেক গুণীজন উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের মতো মহান ব্যক্তিত্বকে বাংলাসাহিত্যে অবদানের জন্য আমাদের তরফ থেকে ক্ষুদ্র এই আয়োজনে মরহুম সৈয়দ মোস্তফা কামাল আনন্দিত হন।  প্রোগ্রামের ক‘দিন পর কুদরত উল্লাহ মার্কেটে আমাকে পেয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন-‘ মুহিউদ্দীন খানরে পদক দিয়া তরা বহুদিনে একটা কাজের কাজ করছছ।’ এই কথা বলে তার বাসার ঠিকানা দিয়ে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে যেতে বলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই আমি একাই উপশহরস্থ তার বাসায় উপস্থিত হই। যাওয়ার পরে বুঝতে পারলাম হযরত শাহ জালাল (র)এর ৩৬০ আউলিয়ার তালিকায় হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (রঃ)এর নামের সংযুক্তির বিষয়ে তার একটি লেখার সাথে আমার ভিন্নমত দেখা দেওয়ায় তিনি আমাকে ডেকেছিলেন। আদর আপ্যায়নেরপর লেখা লেখির বিষয়ে সে দিন আমাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করেছিলেন। সৈয়দ মোস্তফা কামাল সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষনে শতাব্দীর প্রাচীনতম বটবৃক্ষের ন্যায় নিজেই নিজের স্থান করেনিয়েছেন।

     জীবন সায়াহ্নে সৈয়দ মোস্তফা কামালের সাথে সর্বশেষ কথা হয় ২০১২ ঈসায়ীর ৩ নভেম্বর। বাংলাটিভি বিশ্বনাথ প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম মকবুল এবং আমি (এই লেখক) উপশহরস্থ বাসায় উপস্থিত হই। কলিংটিপতেই দরজা খোলে দেয়া হলো । তখন রাত প্রায় ৮ হবে। কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম বিছানায় বসে নামাজ আদায় করছেন তিনি। নামাজ শেষে  আমাদের সাথে দেখা হলো-কথা হলো। কিন্তু আগের মতো নয়। অত্যন্ত মৃদু আওয়াজে জানালেন তাঁর অনুভুতি। কোমল কন্ঠে জানালেন, ‘মকবুল-নগরী আমার জন্য দোয়া কইরো, যেন খাতেমাবিল খায়ের হয়’।

     ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতির সংরক্ষণ, লালন ও বিকাশে আত্মনিবেদিত এই ব্যক্তিত্ব ১৯৪৩ সালের ২৫ জানুয়ারী হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মসাজান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। সৈয়দ মোস্তফা কামাল তরপ বিজয়ী সিপাহ্শালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র:) এর বংশধর । তার পিতার নাম সৈয়দ মসদ্দর আলী এবং মাতা সৈয়দা খোদেজা খাতুন।  সিলেটের শিকড় সন্ধানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল কিশোর বয়সে তার পিতা-মাতাকে হারান। তিনি রাধানন্দ প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। অতঃপর  ১৯৬৩ সালে সিলেট রসময় হাইস্কুল থেকে এস,এস,সি, ১৯৬৫ সালে সিলেট এম,সি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৭২ সালে বি,এ এবং পরে বি-এড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ছাত্রাবস্থায়ই তার লেখা লেখি শুরু। সেই সময় তিনি রঙের বিবি, নবরঙ্গ ও কৈলাশ সমাচার সহ বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। পরবর্তীতে এই লেখা লেখির নেশাই তাঁকে লেখকদের সারিতে টেনে নিয়ে আসে। ১৯৭৭ সালে রাজার বাজার সরকারী হাইস্কুলে শিক্ষতার মহান পেশার মাধ্যমে তার কর্ম জীবন শুরু হয় । ১৯৮২ সালের ৪ জানুয়ারী তিনি শিক্ষা বিভাগ থেকে ডেপুটেশনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, সিলেট এর সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ লাভ  করেন । ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারী তিনি সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।  আগামী প্রজন্মের কর্ম প্রেরণার উৎস সৈয়দ মোস্তফা কামাল সিলেটের সাহিত্যাঙ্গনে একজন অবিস্মরণীয় নাম। সৈয়দ মোস্তফা কামাল সন্ধানী হৃদয়ে,অন্তর্গত তাগিদে নিরলস ভাবে লিখছেন। তাঁর কর্মসাধনা মূল্যায়ন করবেন দেশের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক, গবেষক গণ। তবে আমি দীর্ঘ একদশকের গবেষণার আলোকে শুধু এতটুকুই বলতে পারি যে, সিলেটের মাটি ও সিলেটের মানুষ সৈয়দ মোস্তফা কামালের কাছে ঋণী। বিশিষ্ট লেখক মরহুম কবি ফজলুর রহমান সৈয়দ মোস্তফা কামালকে এভাবে উপস্থাপন করেছেনঃ-

                                       শিকড় সন্ধানী এক জোড়া চোখ তার

    সারাক্ষণ শোনাতে চায় ঐতিহ্যের কথা

    লোক সাহিত্য, মরমী সাহিত্যের অজানা ইতিহাস।

    চোখে পুরো ল্যান্সের ফটোক্রোম চশ্মা

    কাঁচা পাকা ভুরু চুল দাড়ি

    তেষট্টি বসন্তের সাক্ষী তার।

    মায়াবী মুখে মুক্তোঝরা একরাশ হাসি

    ডান হাতে চকলেট কালারের ব্যাগ

    মাথায় গোল টুপি, আর-

    গায়ে এক রঙা সাফারী কিংবা পাজামা-পাঞ্জাবী

    নিরন্তর পথ চলা ত।………………

    সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার, সম্মাননা পত্র, সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট পেয়েছেন দেশ-বিদেশের অর্ধশত সংস্থা ও সংগঠন থেকে। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের অধিক। বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থগুলো হচ্ছে-১, গবেষণামূলক- ১৮টি ২. ইতিহাস-ঐতিহ্য সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক- ৩টি ৩, মরমী সাহিত্য- ৪টি ৪. রম্য রচনা- ২টি ৫. স্যাটায়ার (সমাজ চিত্র-পুথি কাব্য)- ৪টি ৬. আত্মজৈবনিক- ২টি ৭. সীরাত বিষয়ক- ২টি ৮, নাটক- ২টি ৯, পাঠ্য পুস্তক- ৩টি ১০, সম্পাদনা- ২০টি।

    প্রকাশিত গ্রন্থঃ- ১, রঙের বিবি [রম্য রচনা-১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ] ২, জ্বেহাদে পাকিস্তান [পাক-ভারত যুদ্ধের সময় লিখিত পুথি কাব্য- ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ] ৩. কৈলাশ সমাচার [ব্যঙ্গ নাটিকা- ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ] ৪, নবরঙ্গ [রম্য রচনা- ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ] ৫. রিলিফ বন্টন কাব্য [ব্যঙ্গ কবিতা- সমাজ চিত্র- ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ] ৬. তরপ বিজয় [ঐতিহাসিক নাটক- ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ] ৭, ঐতিহ্যের সোনালী অধ্যায়-সিলেটের লোক সাহিত্য প্রসঙ্গ [গবেষণা-সিলেটের লোক সাহিত্য চর্চার মূল্যায়ন- ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ] ৮, ছিলট বিবির বয়ান ও বঙ্গবানু সমাচার [ব্যঙ্গ রচনা, পুথি কাব্য- ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ] ৯, বাংলার আধ্যাত্মিক রাজধানী [প্রবন্ধ সংকলন,গবেষণা- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ] ১০, হযরত শাহজালাল (রাঃ) কারামত- ৩৬০ আওলিয়া (একত্রিশতম সংস্করণ-২০০৬ খ্রিস্টাব্দ) এছাড়া হযরত শাহজালাল (র)’র সিলেট বিজয়ের সাতশ’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংশোধিত ও পরিবর্ধিত শোভন সংস্করণ ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ, পুনমুদ্রণ- ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ। ১১. হবিগঞ্জের মুসলিম মানস [গবেষণা- ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দ। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম মানস ও উত্তরাধিকার নিয়ে জেলা ভিত্তিক এটিই প্রথম প্রকাশনা।] ১২, সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতী-সংবর্ধনা স্মারক-২০০১ (১০ আগস্ট ২০০১ খ্রিস্টাব্দ) ১৩. এম,সি কলেজ-স্মৃতি বিস্মৃতির জাগ্রত অতীত [আত্মজৈবনিক- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ] ১৪. রাহমাতুল্লীল আ’লামীন [নবী জীবনী-চতুর্থ সংস্করণ- ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ] ১৫. ড. এ.কে আব্দুল মোমেন-প্রবাসে স্বদেশ চিন্তা (সম্পাদনা) ২০০১ খ্রিস্টাব্দ। ১৬, মক্কা মদিনার পথে প্রান্তরে [হজ্জ-উমরা-জিয়ারত] হজ্জ সফর- ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ, চতুর্থ সংস্করণ- ২০০০ খ্রিস্টাব্দ] ১৭, হবিগঞ্জ পরিক্রমা [সম্পাদনা- ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ] ১৮, সিলেটের মরমী সাহিত্যের অব্যাহত ধারা [সম্পাদনা- ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ] ১৯, মহানবীর মু’যিজা [দ্বিতীয় সংস্করণ- ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ] ২০, গুলিস্তার গল্প-শেখ সা’দী (রাঃ)’র অমর বাণী [তৃতীয় সংস্করণ- ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ] ২১. স্মৃতি অম্লান [মরহুম চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষণ-জীবনী স্মারক-সম্পাদনা- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ] ২২,সুরময় ভূবনে ঃ ছয় মরমী কবি [সূফী সাধনা ও মরমী সাহিত্য চর্চার মূল্যায়ন- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ, দ্বিতীয় সংস্করণ-২০০৭] ২৩. কর্মবীর আমীনূর রশীদ চৌধূরী [ গবেষণা- জীবনী- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ] ২৪,আমার রচনা পরিচয় -৬ষ্ঠ শ্রেণী, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড- ঢাকা অনুমোদিত- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ] ২৫,  বি,এন,এস,এ (লণ্ডন)  [লেখক পুরস্কার স্মারক, সম্পাদনা- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ] ২৬. ভাবনার বাতায়ন [গবেষণা ঃ সমাজ -সাহিত্যঃ সংস্কৃতি,জীবন- ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ] ২৭, হাছন রাজার গান-গানের গূঢ়তত্ত্ব –ভাব ও ভাষা বিশ্লেষণ-গবেষণা [১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ] ২৮,সূফী সাধক শিতালং শাহ (র:) [গবেষণা-জীবনী- ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ] ২৯, সিলেটের শিক্ষা-দীক্ষা-ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার [২০০৪ খ্রিস্টাব্দ, জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সিলেট আয়োজিত [সেমিনার স্মারক] ৩০, ভাষা আন্দোলনে সিলেটের অবদান [সেমিনার স্মারক-সম্পাদনা- ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ] ৩১, সিলেটের মরমী সাহিত্য [গবেষণা- ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ] ৩২. জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী [ সম্পাদনা- ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ] ৩৩, স্মৃতি অমলিন ঃ মহিউদ্দিন মোঃ মাছুম স্মারক [সম্পাদনা – ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ] ৩৪, কথা ও কাহিনী [প্রবন্ধ সংকলন- ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ, দ্বিতীয় সংস্করণ ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ] ৩৫,মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য গবেষণা পরিষদ- হবিগঞ্জ-স্মারক গ্রন্থ [সম্পাদনা- ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ] ৩৬,মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য গবেষণা পরিষদ- হবিগঞ্জঃ স্মারক গ্রন্থ [সম্পাদনা- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ] ৩৭, জাতীয় অধ্যাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ও কথা শিল্পী শাহেদ আলীকে রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৮ প্রদান উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক [সম্পাদনা-১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ] ৩৮,সিলেট বিভাগের পরিচিতি [ইতিহাস ঐতিহ্য-২০০০ খ্রিস্টাব্দ, সংশোধিত ও বর্ধিত সংস্করণ-২০০২ খ্রিস্টাব্দ, তৃতীয় সংস্করণ-২০০৪ খ্রিস্টাব্দ] ৩৯,১৯৪৭’র সিলেটের ঐতিহাসিক রেফারেণ্ডাম কমিটির সেক্রেটারী ও মুসলিম লীগ নেতা আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ এডভোকেট জন্ম শতবার্ষিকী স্মারক [সম্পাদনা-২০০০ খ্রিস্টাব্দ] ৪০,দীনহীন- ঐতিহ্য-উত্তরাধিকার (গবেষণা-২০০০ খ্রিস্টাব্দ) ৪১,এম,সি কলেজ বার্ষিকী- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ (সাহিত্য বিভাগ) ৪২,রাগীব আলী (দানবীর রাগীব আলীর জীবন ও কর্মের মূল্যায়ন) গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ২০০১ খ্রিস্টাব্দ ৪৩,দানবীর রাগীব আলী-মাটি ও মানুষের মিলন মেলায়-২০০২ খ্রিস্টাব্দ, সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ৪৪,নূরুল ইসলাম-প্রবাসে জাগ্রত বিবেক (আমেরিকা প্রবাসী লেখক নবীগঞ্জ উপজেলার জালালসাপ গ্রামে অবস্থিত সৈয়দ শাহ নূর (রঃ)-র মাজার জিয়ারতে। ২৪ জানুয়ারী ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ। নুরুল ইসলামের চারটি গ্রন্থের প্রকাশনা স্মারকঃ সম্পাদনা ২০০২ খ্রিস্টাব্দ)। ৪৫, সিলেটের রেফারেণ্ডাম ও জনপ্রতিনিধি (গবেষণা)-প্রথম প্রকাশ ২০০২, দ্বিতীয় প্রকাশ সংশোধিত ও বর্ধিত সংস্করণ ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ। ৪৬,কচি কথা [বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত-পঞ্চম সংস্করণ- ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ] ৪৭,সিলেটের গুণীজন [সম্পাদনা –প্রধানমন্ত্রী ২০০০ খ্রিস্টাব্দকে গ্রন্থবর্ষ ঘোষণা করায় মাসিক পলাশ পত্রিকার গুণীজন সংখ্যা ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ]। ৪৮, এম,সি কলেজ, সিলেট থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সাহিত্য ম্যাগাজিন ঊষসী-সম্পাদনা-১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ। ৪৯,অতীত দিনের সিলেট-তিন কৃতি পুরুষের স্মৃতির আয়নায় (গবেষণা)- ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ। ৫০,তরপের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত-গবেষণা- ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ। ৫১- ভাষা সৈনিক মতিন উদদীন আহমদ সাহিত্য পরিষদ-স্মারক গ্রন্থ-সম্পাদনা ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ। ৫২, জীবন গাঙ্গের ঘাটে ঘাটে-কিছু স্মৃতি কিছু কথা-আত্মজৈবনিক-২০০৬ খিস্টাব্দ। ৫৩, সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র)-মুড়ারবন্দ দরগাহ শরীফ-২০০৭ খ্রিস্টাব্দ, দ্বিতীয় সংস্করণ- ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ ৫৪,সিলেট নগর ও বিভাগ পরিক্রমা-গবেষণা- ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ। ৫৫,বাংলার মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক বিপর্যয়ের রঙ্গমঞ্চের অন্তরালে -বিবিধ প্রসঙ্গ-২০০৮ খ্রিস্টাব্দ। ৫৬,এসো আগে পড়ি [শিশু কিশোর বর্ণ পরিচয়,পঞ্চদশ সংস্করণ- ২০০১ খ্রিস্টাব্দ] ৫৭,মরমী কবি পীর মোহাম্মদ শাহ ইসকন্দর মিয়া (প্রবাসে স্বদেশের কালচারেল এ্যম্বেসেডর) মূল্যায়ন- ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ ৫৮ হাছন রাজার মরমী মানস ও উত্তর পুরুষ,২০০৮ খ্রিস্টাব্দ [গবেষণা]। ৫৯,সিলেটের মরমী মানস-২০০৯ খ্রিস্টাব্দ,গবেষণা। ৬০,প্রসঙ্গ বিচিত্রা, সিলেট বিভাগের ইতিহাস-ঐতিহ্য সাহিত্য-সংস্কৃতি জীবন-২০১০ খ্রিস্টাব্দ।

    পরিশেষে মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের দরবারে মরহুম এই কলম সৈনিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।লেখকঃ মুহাম্মদ রুহুল আমীন নগরী