সুনামগঞ্জ সীমান্তে চলছে মাদকদ্রব্য পাচাঁরের নাটকীয় প্রক্রিয়া

    0
    538

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের চাঁরাগাঁও সীমান্তে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নাটকীয় ভাবে মাদক ও বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামীরা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার কয়লা পাঁচারের সাথে বস্তা বন্দি করে পাচাঁর করছে মদ,গাঁজা,হেরুইন,গরু ও ইয়াবা। র‌্যাব মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করলেও বিজিবি এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

    এব্যাপারে চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ী ও সীমান্তবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাসিন্দা দীপক,মোফাজ্জল ও সাইকুল মিয়া নিজেদেরকে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয় দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে ১০০টাকা,লালঘাট গ্রামের মাদক ও বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামী আব্দুল আলী ভান্ডারী,রুবেল মিয়া,খোকন মিয়া ও রমজান মিয়া নিজেদেরকে চাঁরাগাঁও বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে ৮০টাকা ও কয়লা চোরাচালান মামলার আসামী কথিত সাংবাদিকের নাম ভাংগিয়ে প্রতি বস্তা কয়লা থেকে ৩০টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্তের লালঘাট,বাঁশতলা ও চাঁরাগাঁও এলসি পয়েন্ট দিয়ে কয়লার সাথে বস্তার ভিতরে করে মদ,গাঁজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁর করছে।

    এছাড়া ১কার্টন মদ থেকে ৫শত টাকা,১হাজার পিছ ইয়াবা থেকে ২০হাজার টাকা,১কেজি গাঁজা থেকে ১হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে সোর্সরা। কিন্তু চাঁরাগাঁও ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার তোফাজ্জল সোর্স পরিচয়ধারী সীমান্ত চোরাচালানী ও চাঁদাবাজ দীপক,সাইকুল,রমজান ও আব্দুল আলী ভান্ডারীর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো তাদের সাথে চলা ফেরা করেন। এবং অবৈধ মালামাল এলাকা ছাড়া হওয়ার পর অভিযান করেন। অথচ সুবেদার মোনায়েম খান ও আইয়ুব খান চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারীর পাচাঁরকৃত মদের চালান তার নিজবাড়ি থেকে আটক করে থানায় মামলা দায়ের করাসহ অন্যান্য সোর্সদের নৌকা ও ঠেলাগাড়ি বোঝাই চোরাই কয়লা আটক করেছেন।

    এব্যাপারে সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী বলেন,”আমরা যা করছি পুলিশ ও বিজিবিকে নিয়েই করছি আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখলে রাজ্জাক ভাই উল্টো আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবেন”।

    চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার তোফাজ্জল বলেন,সোর্স দীপক,সাইকুল,মোফাজ্জল,রমজান ও আব্দুল আলী ভান্ডারীর চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে লোক মুখে শুনি কিন্তু প্রমান ছাড়াতো কিছু করা সম্ভব না। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল,বদিউজামাল,মানিক মিয়ার নেতৃত্বে কয়লা,মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা ও গরু পাচাঁর হচ্ছে।

    টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া,বুরুঙ্গাছড়া,রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স ফিরোজ মিয়া ও কামাল মিয়ার নেতৃত্বে পাথর,কয়লা,মদ,অস্ত্র তৈরি সরঞ্জাম,ইয়াবা,গাঁজা,হেরুইন ও গরু পাচাঁর হচ্ছে। অপরদিকে চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা,কড়ইগড়,রাজাই,চাঁনপুর ও যাদুকাটা নদী এলাকা দিয়ে সোর্স মাদক মামলার আসামী আবু বক্কর,জম্মত আলী ও রফিকুলের নেতৃত্বে গরু,মদ,অস্ত্র,ইয়াবা,হেরুইন,নাসিরউদ্দিন বিড়ি,ঘোড়া পাচাঁর হলেও দেখার কেউ নেই।

    সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কোন সোর্স নাই,চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।